নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের নাগরিকরা নিজেদের কর্মজীবনের অবসরের পর যাতে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পান তার জন্য বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করে থাকেন। সেইসব প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি প্রকল্প হল ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম (NPS)। এই প্রকল্প জনপ্রিয় হওয়ার মূল কারণ হলো এটি সরকার দ্বারা পরিচালিত এবং অবসর গ্রহণের পর একটি বড় অংকের টাকা পাওয়া যায়। এছাড়াও মাসে মাসে পেনশনও পেয়ে থাকেন বিনিয়োগকারীরা। তবে এবার এই প্রকল্পের নিয়মে বদল আনছে সরকার (NPS Rules Change)। বদল আসছে টাকা তোলার নিয়মে (NPS withdrawal Rules Change)।
কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই প্রকল্পটি প্রথম চালু করা হয়েছিল ২০০৪ সালে। এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর প্রথম দিকে তা ছিল কেবলমাত্র সরকারি কর্মচারীদের জন্য। পরবর্তীতে এই প্রকল্পে যে কেউ বিনিয়োগ করার সুযোগ পেতে শুরু করেন। যে কারোর বিনিয়োগ পাওয়ার সুবিধা দেওয়া হয় ২০০৯ সাল থেকে। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।
এবার এই প্রকল্পে টাকা তোলার নিয়মে যে বদল আনা হচ্ছে তা কার্যকর হবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ থেকে। পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (PFRDA) টাকা তোলার নিয়মে এই বদল আনতে চলেছে। ইতিমধ্যেই নিয়মে বদলানোর বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেওয়া হয়েছে। ঘোষণা করা নিয়মে বদল অনুযায়ী, নতুন নিয়ম কার্যকর হলে আর ২৫ শতাংশের বেশি টাকা সময়ের আগে তোলা যাবে না।
আরও পড়ুন ? Monthly Pension Plan: মাসে মাসে ২০ হাজার টাকা পেনশন! সরকারি এই প্রকল্প আপনার ভবিষ্যৎ করবে সুরক্ষিত
এই প্রকল্পে যে নিয়ম রয়েছে সেই নিয়ম অনুযায়ী বিনিয়োগরা যদি বিনিয়োগের ৩ বছর পর প্রয়োজন মত টাকা তুলতে চান তাহলে তুলতে পারেন। বিনিয়োগের মোট যে সময়কাল রয়েছে তার মধ্যে এই ভাবে তিনবার টাকা তোলার সময় পাওয়া যায়। সন্তানদের শিক্ষা থেকে শুরু করে বিয়ে, চিকিৎসা সহ আপাতকালীন পরিস্থিতিতে এমন টাকা তোলার সুযোগ দেওয়া হয়। তবে এবার নতুন নিয়ম অনুযায়ী টাকা তোলার সুযোগ থাকলেও তা ২৫ শতাংশের বেশি তোলা যাবে না।
এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করার তিন বছর পর যদি কারো আপাতকালীন পরিস্থিতিতে টাকার প্রয়োজন হয় তাহলে তাকে টাকা তোলার জন্য সেন্ট্রাল রেকর্ডকিপিং এজেন্সি (CRA) এর প্রতিনিধি সরকারী নোডাল অফিসারের কাছে আবেদন জানাতে হয় এবং সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে টাকা তোলা যায়। টাকা তোলার ক্ষেত্রে কারণ জানাতে হবে। যদি কোন বিনিয়োগকারী অসুস্থ থাকেন তাহলে তার প্রতিনিধি হিসাবে পরিবারের সদস্যদের কেউ আবেদন জানাতে পারবেন। এই প্রকল্পের আওতায় বিনিয়োগকারীর ৬০ বছর বয়স হওয়ার পর একবারেই ৬০ শতাংশ টাকা তুলতে পারেন এবং বাকি ৪০ শতাংশ টাকা বিনিয়োগে জমা করা হয় মাসিক পেনশন দেওয়ার জন্য।