These facts of Ayodhya Ram mandir you must be known: অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে গতকালই নিজের সিংহাসনে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন রামলালা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং সমস্ত নিয়ম কানুন মেনে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। তবে দেশবাসীর রাম মন্দির উদ্বোধনের আনন্দে মেতে থাকলেও অনেকেই এই মন্দির সম্পর্কে দশটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ,(Facts of Ayodhya Ram mandir) এখনো পর্যন্ত জানেন না। জেনে নিন এই মন্দিরের গুরুত্বপূর্ণ দশটি বিষয় সম্পর্কে।
১) অযোধ্যার রাম মন্দিরটি এখনও পর্যন্ত ভারতবর্ষের সবথেকে বৃহত্তম মন্দির হিসাবে বিরাজ করবে (Facts of Ayodhya Ram mandir)। ৩০ বছর আগে চন্দ্রকান্ত সোমপুরার ছেলে আশিস সোমপুরা এই স্থাপত্য পরিকল্পনা করেছেন। এই মন্দিরটি মোট ২৮ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে অবস্থিত এবং এর উচ্চতা প্রায় ১৬১ ফুট।
২) রাজস্থানের গোলাপী বেলেপাথর দিয়ে নাগারা শিল্প রীতিতে নির্মিত এই রাম মন্দিরে তিনটি গম্বুজ, পাঁচটি মন্ডপ রয়েছে। যেগুলি ৩৮০ ফুট লম্বা, ২৫০ ফুট চওড়া এবং উচ্চতায় ১৬১ ফুট। সেই সঙ্গে এই মন্দিরে মোট ৩৯২টি পিলার ও ৪৪টি গেট আছে।
আরও পড়ুন ? Ram Mandir Time Capsule: রাম মন্দিরের ২০০০ ফুট নিচে পোঁতা হয়েছে টাইম ক্যাপসুল, কি রয়েছে তাতে!
৩) গত ২০২০ সালের ৫ আগস্ট সংঘটিত হওয়া রামলালার মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের জন্য সমগ্র ভারতবর্ষের ১৫০ টি পবিত্র নদীর জল নিয়ে আসা হয়েছে (Facts of Ayodhya Ram mandir)।
৪) রাম মন্দির নির্মাণ করতে মোট খরচ হয়েছে প্রায় 18 কোটি টাকা। এই টাকার বেশিরভাগটাই অনুদান হিসেবে পাঠিয়েছেন বিভিন্ন মানুষ।
৫) এই মন্দিরের স্থপতি হলেন বিখ্যাত ভাস্কর পরিবার অর্থাৎ সোমপুরা পরিবার। সোমনাথ মন্দির সহ বিশ্বব্যাপী আরো ১০০ টি মন্দিরে নাম জড়িয়ে আছে তাদের। প্রধান স্থপতি চন্দ্রকান্ত সোমপুরার নেতৃত্বে এবং তাঁর ছেলে আশিস ও নিখিল এই মন্দির নির্মাণের কাজ করেছেন।
৬) রাম মন্দির ট্রাস্ট এর দেওয়া তথ্য অনুসারে জানা গেছে (Facts of Ayodhya Ram mandir) মন্দিরটি তৈরি করতে কোনো লোহা বা ইস্পাত ব্যবহার করা হয়নি। ব্যবহার করা হয়েছে শুধুমাত্র পাথর।
৭) অযোধ্যা রাম মন্দিরের ২০০০ ফুট নিচে টাইম ক্যাপসুল এর মাধ্যমে একটি তামার প্লেটে রাম সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য উত্তরাধিকারীদের জন্য সংরক্ষিত অবস্থায় রাখা আছে।
৮) রাম মন্দির নির্মাণের কাজে ব্যবহৃত ইট গুলিতে শিলালিপির আকারে শ্রীরাম লেখা আছে, যা পৌরাণিক রামায়ণের কাহিনীর রাম সেতু নির্মাণের ঘটনাকে মনে করায়।
৯) রাম মন্দিরের ভিত্তি স্থাপন করার সময় মোট ২৫৮৭ টি অঞ্চল থেকে পবিত্র মাটি আনা হয়েছিল। এই অঞ্চল গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ঝাঁসি, বিথুরি, হলদিঘাটি, যমুনোত্রী, চিতোরগড়, স্বর্ণ মন্দির ইত্যাদি।
১০) রামলালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য থাইল্যান্ড থেকে মাটি পাঠানো হয়েছে। যা ভৌগোলিক সীমানার বাইরেও এক বন্ধনকে ইঙ্গিত করে।