Ex ASI Officer KK Mohammad told what was under Babri Masjid: গতকাল অর্থাৎ ২২শে জানুয়ারি সম্পন্ন হলো অযোধ্যা রাম মন্দিরের উদ্বোধন ও রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান। রাম জন্মভূমি অযোধ্যাতে পুনরায় রামের সিংহাসনে আরোহণকে কেন্দ্র করে দেশ জুড়ে মানুষের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু গতকাল সারা দেশের মানুষের এই উন্মাদনা ও আনন্দ উৎসবের পিছনে জড়িয়ে আছে বহু দিনের আন্দোলন ও ধর্মীয় বিশৃঙ্খলার ইতিহাস। রাম মন্দির ও বাবরি মসজিদকে কেন্দ্র করে দেশ জুড়ে আন্দোলন চলেছে দীর্ঘ দিন। অবশেষে আদালতের রায়ে সাফল্য এসেছে। দীর্ঘ দিনের প্রস্তুতি সেরে অবশেষে সগৌরবে দেশের বৃহত্তম মন্দিরের গর্ভগৃহে স্থান পেলেন রামলালা।
রামলালার মন্দির নির্মাণ ও প্রাণ প্রতিষ্ঠার সঙ্গে আবার জড়িয়ে গেলো মুসলিম ধর্মাবলম্বী এক অফিসারের (Ex ASI Officer) সততা ও কর্মোদ্যম। রাম মন্দির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ব্যাক্তিদের মধ্যেই উপস্থিত ছিলেন সেই ব্যক্তি। তখন শিক্ষানবীশ ছিলেন কেকে মহম্মদ (Ex ASI Officer)। তাঁর কথা থেকে জানা যায় খনন কার্যের সময় বাবরি মসজিদের তলদেশে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ দেখেছিলেন তিনি। মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষ হয়েও সেদিন তিনি নিজের কর্তব্যে অবিচল থেকে এই সৎ বক্তব্যকে প্রকাশ করেছিলেন বলেই সারা দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষরা আজ রাম মন্দিরের উদ্বোধন ও রামচন্দ্রের প্রাণ প্রতিষ্ঠার মতো গর্বের মুহূর্ত উপভোগ করতে পারছেন।
আরও পড়ুন ? Ram Mandir Time Capsule: রাম মন্দিরের ২০০০ ফুট নিচে পোঁতা হয়েছে টাইম ক্যাপসুল, কি রয়েছে তাতে!
নিজের বক্তব্য প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন “আমরা সেই সময় ১২টি পিলার দেখেছিলাম। একটা পিলার দেখে মনে হয়েছিল এখানে মন্দির ছিল। একটা পিলারের নীচের দিকে একটা পূর্ণ কলস ছিল। এটা হিন্দু ধর্মে সমৃদ্ধির প্রতীক। অষ্টমঙ্গল চিহ্নও ছিল। হিন্দু ভবনে এটা খুব দেখা যায়। ১২শ শতকে এটা খুব দেখা যেত।” তিনি বুঝেছিলেন মক্কা এবং মদিনা যেমন মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষদের পবিত্র স্থান, ঠিক তেমনি অযোধ্যা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষদের কাছে একটি পবিত্র তীর্থক্ষেত্র। তবে তিনি এটিও জানিয়েছেন আপনি মসজিদের নিচে পাওয়া হিন্দুত্বের লক্ষণ প্রকাশ করেছিলেন বলে তাকে নানা রকম ফতোয়া জারির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তবে নিজের কাজে তিনি অটল থেকে এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ করেছেন।
দ্বিতীয় বার যখন প্রফেসর বিআর মণির নেতৃত্বে এই স্থান খনন করার পর পাওয়া যায় একের পর এক পিলার এবং টেরাকোটার মূর্তি। সঠিকভাবেই প্রমাণ মিলে এই স্থানে মন্দিরই ছিল। কেকে মহম্মদ (Ex ASI Officer) এর মতে “আমার কাজে আমিই একমাত্র মুসলিম ছিলাম। কিন্তু মণির খনন কাজে এক চতুর্থাংশ শ্রমিক ছিলেন মুসলিম ধর্মের, যাতে কোনও পক্ষপাতিত্ব না করা হয়। সবটা ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছিল। কিন্তু সত্যি ক্রমশ প্রকাশিত হয়”। অবশেষে দীর্ঘ আইনি জটিলতা এবং সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে স্বমহীমায় নিজের স্থানে প্রতিষ্ঠা পেলেন রামলালা।