নিজস্ব প্রতিবেদন : বৃহস্পতিবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যাওয়ার কথা ছিল। সেই মতো বেশ কিছু জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পতনও হয়েছে। আবার কিছু কিছু জেলার ক্ষেত্রে এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় তেমন পতন দেখা যায়নি। তবে বৃহস্পতিবারের আবহাওয়া দেখে যারা ভাবছেন, তেমন শীত হয়তো আর পড়বে না, তারা কিন্তু ভুল ভাবছেন। কেননা হাওয়া অফিস (Weather Update South Bengal) যা জানাচ্ছে তা শুনলে আপনার মাথা ঘুরে যাবে।
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, একটি অক্ষরেখা ঝাড়খন্ড, ছত্রিশগড় ও কর্ণাটকের মধ্যে অবস্থান করার ফলে ঠান্ডা বাতাস বিক্ষিপ্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই বঙ্গোপসাগর থেকে রাজ্যে জলীয়বাষ্প প্রবেশ করে এবং তার ফলেই মেঘলা আকাশ, বৃষ্টি এসবের মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করেছে আর আগামী দিন কয়েক বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই।
আকাশ থেকে মেঘের চাদর সরে যাওয়ার পরই পারদ পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে তিলোত্তমায়। যেখানে বুধবার তিলোত্তমার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেই জায়গায় বৃহস্পতিবার তা নেমে দাঁড়িয়েছে ১৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অর্থাৎ ঠান্ডা আবার ফিরে আসছে। কেননা এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা একেবারেই স্বাভাবিক। তবে এরপর থেকে অর্থাৎ শুক্রবার থেকে আরও তাপমাত্রায় পতন হবে বলেই হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে।
এখনো পর্যন্ত হাওয়া অফিসের তরফ থেকে যে পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে তাতে শুক্রবার অর্থাৎ প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন কলকাতায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশার দেখা মিলতে পারে। এর পাশাপাশি সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ আরও কিছুটা কমে ১৩ ডিগ্রীর মধ্যে পৌঁছে যেতে পারে। এরপর আগামী দিন কয়েক তাপমাত্রায় তেমন কোন পরিবর্তন আসবে না। এরপর ২৯ জানুয়ারি থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় ঊর্ধ্বমুখী ভাব লক্ষ্য করা যাবে।
দক্ষিণবঙ্গের যে সকল জেলার শীত নিয়ে সবচেয়ে ভয় সেই সকল জেলাগুলি হল বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ইত্যাদি। এইসব জেলার মধ্যে বীরভূমে আগামী দিন কয়েক সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে দাঁড়াবে ১১ ডিগ্রীর নিচে এবং তা বেশ কয়েকদিন বজায় থাকবে। বাঁকুড়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমে দাঁড়াবে ১০ ডিগ্রীর কাছাকাছি এবং বেশ কয়েকদিন এই তাপমাত্রা ধরে থাকবে। পুরুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ফের একবার ৭ ডিগ্রীর কাছাকাছি নেমে যাবে এবং কনকনে শীত বইবে জেলা জুড়ে। দিন চারেক এমন পরিস্থিতি থাকার পর আস্তে আস্তে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে এই জেলায়।