New update has been released about Puri International Airport: ভ্রমণপ্রিয় মানুষের জন্য সুখবর! এখন পুরী এসে গেলো আপনার হাতের মুঠোয়। দীঘার থেকেও কম সময়ে আপনি পৌঁছে যেতে পারবেন পুরীতে। খুব শীঘ্রই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Puri International Airport) তৈরির পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে চলেছে পুরীধামে। এমনকি শ্রী জগন্নাথ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য যে জমি অধিগ্রহণের দরকার সেই কাজও শেষ হয়ে যাবে ছয় মাসের মধ্যে। ওড়িশার এক সরকারি আধিকারিক সেই কথাই প্রকাশ্যে আনলেন।
পুরীতে এই বিমানবন্দর নির্মাণ করতে (Puri International Airport) জমি লাগবে মোট ১১৬৪ একর। মোট জমির মধ্যে ৬৮ একর জমিতে আছে জঙ্গল। পাশাপাশি ২২১.৪৮ একর জমি ব্রহ্মগিরি তহসিলের শিপাসারুবালি এবং সন্ধ্যাপুরে ব্যক্তিগত জমির অন্তর্ভূক্ত আছে। নির্মাণ কার্যে কত খরচ হতে পারে জানেন কি? মোট খরচ হতে পারে ৫ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা।
পুরী হলো হিন্দু ধর্মের মানুষদের এক বিশেষ পবিত্র তীর্থস্থান তাই স্বাভাবিকভাবেই হাজার হাজার ভক্তদের সমাগম ঘটে এইখানে। জগন্নাথধামে জগন্নাথদেবের দর্শন এর জন্য শুধুমাত্র দেশ থেকে নয় বিদেশ থেকেও প্রচুর মানুষ আসে। যেসব যাত্রীরা বিমান পথে পুরীতে আসেন তাদের কিন্তু বিমানবন্দরে নেমে অনেকটা পথ গাড়িতে যাত্রা করতে হয়।। ফলে পুরীতেই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ হলে কিছু সুযোগ সুবিধা পাবে দেশের জনগণ। ফলে পর্যটকদের আর কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। খুব অল্প সময়ের মধ্যে সবাই পৌঁছে যেতে পারবেন পুরীতে। সময় লাগবে এক ঘণ্টা।
ইতিমধ্যেই কিন্তু বিমানবন্দর নির্মাণের (Puri International Airport) জন্য ৯৬১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়ে গিয়েছে। এছাড়া ২২১.৪৮ একর জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া বর্তমানে কার্যকর হচ্ছে। আশা করা যায়, আগামী ছয় মাসের মধ্যে বাকি কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। তবে বাকি আছে আরও কিছু ক্লিয়ারেন্স যা হয়ে গেলেই শুরু হয়ে যাবে নির্মাণকাজ। গত বছরই অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে এই প্রজেক্টের জন্য কতটা জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন তার ছাড়পত্র মিলেছে।
পর্যটকরা অবশ্য বর্তমানে ভুবনেশ্বরে বিজু পট্টনায়েক এয়ারপোর্ট থেকে পুরীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। অন্তত ভক্তদের সুবিধার্থে যদি পুরীতে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর খোলা হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। বিশ্ব দরবারে জগন্নাথধামকে প্রোমোট করতে পুরীতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ করা হয় ২০২১ সালে। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। তারই ফলস্বরূপ দেশের জনগণ পেতে চলেছে আরো একটি নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।