Bike Tyres: দুর্ঘটনার সবচেয়ে বড় কারণ কী জানেন! যেটা অনেকেই ভাবেন না

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Bike tyres are one of the major causes of accidents: ভারত হল এমন একটি দেশ যেখানে দুই চাকার চাহিদা অনেকটাই বেশি। তবে বাইক প্রেমিকের বাইক চালানোর সময় কিছু কিছু বিষয়ে মাথায় রাখতে হয় নাহলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা এড়িয়ে যাওয়া যায় না। ভাববেন না শুধুমাত্র ধীরে বাইক চালালে কিংবা হেলমেট পরে থাকলে আপনি সুরক্ষিত। আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে যা অনেক সময় নজরে পড়ে না বাইক চালকদের। সেই সব বিষয়গুলো (Bike Tyres) নিয়েই আজকের প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হলো আপনাদের সামনে।

Advertisements

বাইকের চাকাও (Bike Tyres) কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে জীর্ণ হয়ে যায়। এর ফলে ঘটতে পারে চরম দুর্ঘটনা যা জীবনও পর্যন্ত নিয়ে নিতে পারে। সম্প্রতি ভারতের প্রত্যেকটি রাজ্যের সড়ক ব্যবস্থায় আনা হয়েছে আমূল পরিবর্তন। ফলে রাস্তা যদি ভালো হয় বাইক কেন যেকোনো গাড়ি দ্রুত চালাতে সুবিধা হবে। অনেক অল্প সময়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে গন্তব্যস্থলে। কিন্তু এই উন্নত রাস্তা আপনার বিপদ ডেকে আনবে না তো? দ্রুত বাইক চালানোর ক্ষেত্রে চাকা যদি জীর্ণ থাকে তাহলে বিপদ থাকবে অনেকটাই বেশি। এই বিষয়টা অবশ্যই ভেবে দেখতে হবে।

Advertisements

যখনই দেখবেন রাস্তার পরিস্থিতি উন্নত তখনই জীর্ণ চাকা (Bike Tyres) স্লিপ খেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এর ফলে আপনার প্রাণের ঝুঁকি হতে পারে। যদি হঠাৎ করে কেউ ব্রেক কষে তাহলে টাল সামলাতে না পেরে স্লিপ খেয়ে যাবে এই ধরনের জীর্ণ, দুর্বল বাইকের চাকা। আর হাইওয়েতে বড় গাড়ি, ট্রাকের নিচে চলে আসার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাহলে এই বিপদ থেকে বাঁচার উপায় কি?

Advertisements

আরও পড়ুন ? Spikes on motorbike tyres: নতুন টায়ারের গায়ে রোমের মত এগুলি কি! এদের কাজ-ই বা কী!

কিন্তু এই ধরনের দুর্বল ও জীর্ণ চাকা (Bike Tyres) ব্যবহার করা একেবারেই নিয়মবিরুদ্ধ। টায়ারের ঘনত্ব বা থিকনেস যদি ১.৬ মিলিমিটারের কম হয় তাহলে সেটি জীর্ণ টায়ার হিসাবে গণ্য করা হবে। আপনার বাইকে যদি এই ধরনের চাকা ব্যবহৃত হয় তাহলে তা কিন্তু অপরাধ। আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে কোন টায়ার ব্যবহার করেন সেটা জীর্ণ হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে বর্ষাকালে, এই ধরনের বাইকের চাকা স্লিপ হওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। খেয়াল রাখবেন আপনাকে যেন জরিমানার সম্মুখীন না হতে হয়। প্রত্যেকটা টায়ারের একটা এক্সপায়ারি ডেট থাকে সেটা অনেকেই জানেন না। নির্দিষ্ট সময়ের পর সেইসব টায়ার ব্যবহার করা উচিত নয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলে আপনি আপনার টায়ার পরিবর্তন করুন। যদি কোনো গাড়ির চাকা তিরিশ হাজার কিলোমিটারের বেশি চলে থাকে তা অবশ্যই পরিবর্তন করা উচিত। নতুন চাকা লাগালে তাতে গ্রিপ থাকে খুবই ভালো এবং ভালো রাস্তাতে সেটা স্লিপ খায় না সহজে। আমাদের দেশে দু চাকার দুর্ঘটনার পরিমাণ অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে বিগত বছরে তাই এইসব বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। জীর্ণ টায়ার বদল করে অবশ্যই নতুন টায়ার ব্যবহার করুন।

Advertisements