নিজস্ব প্রতিবেদন : সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া কিছু ছবি এবং ভিডিও বিভিন্ন সময় নানান বিতর্ক তৈরি করে। ঠিক সেই রকমই একইভাবে এবার একটি ছবিকে ঘিরে শুরু হয়েছে চরম বিতর্ক। এই ছবি অন্য কোন রাজ্যের নয়, এই ছবি পশ্চিমবঙ্গের। যেখানে দেখা যাচ্ছে কয়েকটি ছাগল সরকারি স্কুলের ইউনিফর্ম পরে মাঠে ঘাস খাচ্ছে (Goats wear school uniform)।
রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গ সহ বিভিন্ন জায়গায় এখন জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। জাঁকিয়ে শীত পড়াটা শীতবিলাসীদের কাছে খুব আনন্দের বিষয় হলেও পশু পাখিদের জন্য তা কিন্তু অনেকটাই অস্বস্তিকর। কেননা মানুষেরা শীত বস্ত্র পরে শীত কাটিয়ে জাঁকিয়ে শীতের আনন্দ উঠালেও পশু পাখিরা তো আর শীত বস্ত্র পান না। তবে কিছু মানুষকে দেখা যায় যারা পশুদের নিজেদের পুরাতন জামা কাপড় পরিয়ে দেন। তবে তাই বলে সরকারি স্কুলের ইউনিফর্ম! বিতর্ক এখানেই।
ছাগলদের সরকারি স্কুলের ইউনিফর্ম পরানোর ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ায়। যে পুরুলিয়া জেলা এখন দফায় দফায় উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমের বিভিন্ন এলাকাকে ঠান্ডার নিরিখে টেক্কা দিচ্ছে। এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই এলাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। যদিও ওই প্রধান শিক্ষক সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিতর্কিত এমন ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার বাগমুন্ডিতে।
আরও পড়ুন ? Teachers Transfer WB: টুক করে আবেদন করে পছন্দের স্কুলে বদলি! শিক্ষকদের খারাপ খবর দিল রাজ্য
মাঠে স্কুল ইউনিফর্ম পরে ছাগলদের ঘাস খাওয়ার ছবিটি সামনে এনে অভিযোগ তুলেছেন বাগমুন্ডি থানার চানোর এলাকার বাসিন্দা দিলীপ প্রামানিক। তিনি দাবি করেছেন, প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে তিনি দেখতে পান এক ব্যক্তির যতগুলি ছাগল মাঠে চরছিল প্রত্যেকটি ছাগলের গায়ে ছিল সরকারি স্কুলের ইউনিফর্ম। এই ঘটনা দেখার পর তিনি স্কুলের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ এনেছেন। তিনি অভিযোগ এনেছেন বাগমুন্ডি নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মলয় রঞ্জন মাজির বিরুদ্ধে।
যদিও ওই প্রধান শিক্ষক এই অভিযোগকে অস্বীকার করে জানিয়েছেন, নীল রঙের যে পোশাক ওই ছাগলগুলির গায়ে দেখা যাচ্ছে, সেই সকল পোশাক অনেক পুরাতন। এখন স্কুল পড়ুয়াদের পোশাকের রং নীল থেকে বদলে হয়েছে সাদা। তবে পুরাতন নীল রঙের ওইসব পোশাক কিভাবে ছাগলদের গায়ে গেল তা তিনি জানেন না। আবার যাদের ছাগল তারা জানিয়েছেন, স্কুলের কোন শিক্ষক তাদের এই সব পোশাক দেন নি। তাহলে কোথায় থেকে এই সকল পোশাক এলো তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন? কেননা ঐ ছাগলদের মালিক আবার জানিয়েছেন, তাদের কোন সন্তান ওই স্কুলে পড়াশোনা করেন না।