নিজস্ব প্রতিবেদন : ডিসেম্বর থেকে শুরু করে জানুয়ারি মাসে শীতের মরশুমে (Winter Update) দফায় দফায় বৃষ্টির পর ফেব্রুয়ারি মাসেও বৃষ্টি (Rain)। চলতি বছর কোনভাবেই দক্ষিণবঙ্গ থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গ, কোন এলাকাকেই পিছু ছাড়ছে না বৃষ্টি। শীতে এমন বৃষ্টির কারণে আবহাওয়ায় যেমন হাজার বদল লক্ষ্য করা যাচ্ছে ঠিক সেই রকমই শীতের ফসলেও হচ্ছে ক্ষতি।
জানুয়ারি মাসের শেষ থেকে মেঘলা আকাশের কারণে যেভাবে দক্ষিণবঙ্গের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে তা উল্লেখযোগ্য। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এখন পৌঁছে গিয়েছে ২১ ডিগ্রির উপরে। পশ্চিমের জেলাগুলির সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পেয়ে এখন ১৩ ডিগ্রী থেকে ১৫ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। অন্যদিকে শুরু হয়েছে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি।
জানুয়ারি মাসের শেষ থেকে ফেব্রুয়ারির শুরুতে এমন বৃষ্টির কারণ উত্তর বঙ্গোপাসাগরের উচ্চচাপ বলয় এবং ঝাড়খণ্ডের উপর ঘূর্ণাবর্ত্যের প্রভাব। এর ফলেই বৃদ্ধি পেয়েছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এখন প্রশ্ন হল, তাপমাত্রার পারদ বাড়বে নাকি কমবে? অর্থাৎ বৃষ্টির এই রেস কেটে যাওয়ার পর কি দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা ফের একবার শীতের আমেজ পাবেন?
আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার রাত থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি শুরু হওয়ার পাশাপাশি বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টি হবে। কোন কোন জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ থাকবে মাঝারি, আর কোন কোন জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ থাকবে হালকা। তবে গোটা দক্ষিণবঙ্গই যে বৃষ্টির মুখোমুখি হতে চলেছে, তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
অন্যদিকে এই বৃষ্টির ফলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার যে উর্ধ্বমুখী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা আপাতত কমবে না। দিন ও রাতের তাপমাত্রার মধ্যে কোন পার্থক্য আগামী কয়েক দিন লক্ষ্য করা যাবে না। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিন বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকবে আর আদ্রতা বেশি থাকার কারণেই তাপমাত্রার পতন আপাতত লক্ষ্য করা যাবে না। আবার বৃষ্টি শেষে রোদ ঝলমলে দিনের দেখা মিললেও নতুন করে তাপমাত্রার পতন হবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।