In the On Account Budget, the allocation for Maldives has been reduced: গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ঘোষিত হল ভারতের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট (On Account Budget)। এই বাজেটের ব্যাপক প্রভাব পড়ল মালদ্বীপের উপর। ২০২৩ সালের শেষের দিকে ভারত ও মালদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে নানা টানাপোড়েন এর সৃষ্টি হয়েছিল। সেই টানাপোড়েনের জের এবার দেখা গেলো বাজেটের মধ্যেও। এদিন বাজেট পেস করার সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে দেখা গেল মালদ্বীপের জন্য বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ এক ধাক্কায় ২২ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত অর্থ বছরে ভারতের তরফ থেকে মালদ্বীপের সাহায্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৩০০ শতাংশ। এই দ্বীপ রাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তার জন্য এদেশের বাজেট বৃদ্ধি করা হয়েছিল। পর্যটন শিল্পের জন্য বিখ্যাত এই দ্বীপরাষ্ট্রটিকে যে সব রাষ্ট্রগুলি আর্থিক সহায়তা প্রদান করে তাদের মধ্যে একেবারে প্রথম সারিতেই রয়েছে ভারতের নাম। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এই সাহায্যের অঙ্ক ছিল ১৮৩.১৬ টাকা। আর ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে মালদ্বীপের জন্য ভারতীয় বাজেটে (On Account Budget) বরাদ্দ করা হয় ৭৭০.৯০ কোটি টাকা। অর্থাৎ ভারতের পক্ষ থেকে এক বছরের মধ্যে প্রায় ৩০০ শতাংশ অর্থ বৃদ্ধি করা হয়েছে দ্বীপ রাষ্ট্রটির জন্য।
প্রথমে ভারতের তরফ থেকে মালদ্বীপের জন্য ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। পরে সেই সাহায্যের পরিমাণ বেড়ে হয় ৭৭০.৯০ কোটি। মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিকাঠামো ইত্যাদি একাধিক খাতে অনুদান পাঠায় ভারত। সেখানে নিযুক্ত রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীও। পরবর্তীকালে চিনপন্থী’ মহম্মদ মুইজু সেখানকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর উভয়ের মধ্যে কিছুটা সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। স্থানীয়দের মধ্যে ধারণা তৈরি হয় এই দ্বীপ রাষ্ট্রের উপর প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে ভারত। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র হাতের পুতুল, ভাঁড় ইত্যাদি বলে কটাক্ষ করেন মালদ্বীপের নেতা মন্ত্রীরা।
আরও পড়ুন ? Economic Corridor Project: চীনের ঘুম উড়াল ২৪-এর বাজেট! তৈরি হবে নতুন করিডোর, পাত্তা পাবে না জিনপিং
এই সব ঘটনা গুলির কারণে দ্বীপ রাষ্ট্রটির পর্যটনের উপরেও যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে এর আগেই। এবারের অন্তর্বর্তী বাজেটে (On Account Budget) মালদ্বীপে বরাদ্দ অর্থ কমিয়ে দিল ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। স্বাভাবিক ভাবেই কিছুটা সংকটের পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে মালদ্বীপ জুড়ে। এক ধাক্কায় ২২ শতাংশ আর্থিক বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া বিশেষ প্রভাব যে মালদ্বীপের উপর বর্ষিত হবে সে কথা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।