নিজস্ব প্রতিবেদন : কলকাতায় গণপরিবহনের মেরুদন্ড হলো মেট্রো রেল পরিষেবা (Metro Rail)। যে কারণে কোন সময় মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত হলে হাজার হাজার যাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হয়। অন্যদিকে যাতে মেট্রো পরিষেবা আরও শহরের আনাচে কানাচে পৌঁছে দেওয়া যায় তার জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে নানান পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এবার কলকাতা মেট্রোকে (Kolkata Metro) আরও ভালোভাবে সাজিয়ে তোলার জন্য চার হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করার ঘোষণা করা হলো।
এমনিতেই হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রো রেল পরিষেবা চালু করার জন্য মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জোরদার কাজ চালানো হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে অথবা মার্চ মাসের শুরুতেই এই রুটে মেট্রো চলাচল শুরু হয়ে যেতে পারে। এই সুখবরের মধ্যেই এবার আরও একটি সুখবর পাওয়া গেল, আর সেই সুখবর মূলত কলকাতা মেট্রোর জন্য ৪০০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগের ঘোষণা। এমন ঘোষণা হই গত বৃহস্পতিবার পেশ হওয়া বাজেটে।
কলকাতায় মেট্রো পরিষেবা আরও উন্নত করার জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করার ঘোষণার পাশাপাশি দুটি রুটের ক্ষেত্রে ব্যাপক জোর দেওয়া হয়েছে। যেমন দমদম বিমানবন্দর থেকে রাজারহাট হয়ে নিউ গড়িয়া পর্যন্ত মেট্রো প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১৭৯১ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা। এর আগে এই প্রকল্পের জন্য ১৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, হিসেব অনুযায়ী এবার তা আরও বেড়ে গেল।
আরও পড়ুন ? Underwater Metro: আরও একধাপ এগোল গঙ্গার নিচে মেট্রো, হয়ে গেল এই বড় কাজ
অন্যদিকে জোকা থেকে মাঝেরহাট মেট্রো প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১২০৮ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। আগে এই মেট্রো প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ৮৫০ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে ৩৫৮ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি আরও একাধিক রুটের ক্ষেত্রেও আলাদাভাবে জোর দেওয়ার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করার ঘোষণা করা হয়েছে।
বরানগর থেকে বারাকপুর ও দক্ষিণেশ্বর মেট্রো প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে আর এই মেট্রো প্রকল্পের জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা করা হয়েছে। নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর হয়ে বারাসাত পর্যন্ত মেট্রো প্রকল্পের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষে এই প্রকল্পের জন্য ৩০৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এছাড়াও কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশনের জন্য ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। একইভাবে জোকা বিবাদীবাগ মেট্রো প্রকল্পের জন্য দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।