নিজস্ব প্রতিবেদন : যুবক-যুবককে বিয়ে, যুবতী যুবতীকে বিয়ে অর্থাৎ সমকামী বিয়ের ঘটনার এখন কমতি নেই। তবে এযাবৎ বীরভূমে এই ধরনের ঘটনার কোন নজির ছিল না। এবার সেই নজরি তৈরি করলেন সিউড়ি এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কড়িধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের সেনপাড়ার বাসুদেব চক্রবর্তী। ৩৭ বছর বয়সী ওই যুবকের এমন কাণ্ডে প্রতিবেশীরা অবাক হয়ে পড়লেও পরিবারের তরফ থেকে বিষয়টিকে পুরোপুরি ভাবেই মেনে নেওয়া হয়েছে।
বাসুদেব চক্রবর্তীর এর আগে ২০১২ সালে বিয়ে হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে পরিবার সূত্রে। রামপুরহাটের এক যুবতীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। তবে সেই বিয়ে টেকেনি এক বছরও। এক বছরের মধ্যে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের পর ওই যুবতী অন্য একজনকে বিয়ে করেন। তবে বাসুদেব চক্রবর্তী এতদিন সঙ্গীর খোঁজে ছিলেন। তাকে দীর্ঘ সময় সঙ্গীর খোঁজে থাকতে হয়েছিল মূলত তার পছন্দের সঙ্গী না পাওয়ার জন্য।
পরিবারের সদস্যদের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, বাসুদেব খুব ভালো ছেলে। তার চরিত্র নিয়ে কোন কথা হবে না। তবে সে কখনোই মেয়েদের ভালোবাসতো না। সে ছেলেদের ভালোবাসতো। এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং বুধবার রাত একটার সময় তারা দুজন বিয়ে করেন। বিয়ে করার পর সেই ভিডিও তাদের পাঠান। সরস্বতী পুজোর আগে তারা বাড়ি আসবেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন ? Wedding Entry: বিয়ে বাড়িতে বরের মেগা এন্ট্রি! যোগীর স্টাইলে ঢুকল বুলডোজার
বিয়ের আগে বাসুদেব নিজের বাড়ি থেকে কলকাতার কোথাও ওঠেন। অন্যদিকে হাওড়ার যুবক অমিত মালিক অর্থাৎ যার সঙ্গে বাসুদেবের বিয়ে হয় তিনিও ওই একই জায়গায় ওঠেন। অমিত মালিক একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করেন বলে জানা গিয়েছে। তবে খুব তাড়াতাড়ি তিনি একটি কোম্পানিতে কাজে ঢুকবেন। বাসুদেবের পরিবারের সদস্যদের তরফ থেকে এই বিয়ে নিয়ে প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেলেও অমিতের বাড়ি থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বাসুদেবের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, “এমন বিয়ে এখন হামেশাই হয়ে থাকে। আমাদের এখানে হয়তো হয়নি। আমরা এই বিয়েতে খুশি এবং ওরা দুজন বাড়ি এলে ধুমধাম করে বরণ করা হবে। এছাড়াও প্রীতিভোজ সহ অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। প্রতিবেশীরা কি মনে করছেন তা ভেবে লাভ নেই। আমরা এই বিয়েতে খুশি।”