নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের প্রতি মাসে হাতে নগদ টাকা দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঘোষণা করেছিলেন একটি প্রকল্পের। ভোটে জয়যুক্ত হয়ে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করেই সেই প্রকল্প চালু করেন আর তার নাম দেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar)।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চালু করা এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রকল্পের আওতায় থাকা সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা প্রতিমাসে ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলারা প্রতিমাসে ১০০০ টাকা করে পেতেন। কিন্তু এই প্রকল্পের টাকা বৃহস্পতিবার ডবল করা হয়। এবার রাজ্য সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা প্রতি মাসে পাবেন ১০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলারা পাবেন প্রতি মাসে ১২০০ টাকা।
বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অন্তবর্তী যে বাজেট পেশ করা হয় সেই বাজেট পেশ করার সময় এমনই ঘোষণা করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশ করার সময় তিনি জানিয়েছেন, প্রতিমাসে রাজ্যের ২.১১ কোটি মহিলারা সরাসরি এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। সরাসরি তাদের ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্টে এই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন ? লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদনে এলো বড় বদল! দারুণ সুযোগ করে দিল নবান্ন
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বাজেটে এমন ঘোষণার পর রাজ্যের মহিলাদের মধ্যে খুশির হাওয়া বইছে। কেননা তাদের টাকা এখন দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চারদিকে শুরু হয়েছে মিষ্টিমুখ। তবে এরই মধ্যে সবথেকে বড় যে প্রশ্ন সেই প্রশ্ন হল, কবে থেকে এই বর্ধিত টাকা পাওয়া যাবে? অর্থাৎ কোন মাস থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় থাকা মহিলারা ৫০০ টাকার বদলে ১০০০ টাকা এবং ১০০০ টাকার বদলে ১২০০ টাকা পাবেন?
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা দিতে প্রতি মাসে রাজ্য সরকারের ১০৯০ কোটি টাকা খরচ হতো। পরে আরও ৯ লক্ষ উপভোক্তা যুক্ত হওয়ায় সেই খরচ আরও বাড়ে ৪৫ কোটি টাকা। আর এখন এই টাকা দ্বিগুণ হয়ে যাওয়াই খরচও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। আর রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা অনুযায়ী বর্ধিত টাকা পাওয়া যাবে মে মাস থেকে।