নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারত ও চীন (India China) প্রতিবেশী দেশ হলেও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক একেবারেই ভালো নয়। সম্পর্কের এমন অবনতির পিছনে রয়েছে চীনের আগ্রাসী মনোভাব বলেই অনেকে মনে করে থাকেন। চীনের এমন আগ্রাসী মনোভাবের কারণে একাধিকবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তাপ বেড়েছে। তবে এবার ভারত এমন এক পদক্ষেপ নিল যাতে করে চীনের ঘুম উড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
২০২২ সালে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা উত্তপ্ত হতে দেখা গিয়েছিল ভারত ও চীন দুই দেশের সেনাদের হাতাহাতিতে। চীন আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে ভারতীয় সেনাদের উপর আক্রমণ চালালেও ভারতীয় সেনারা সেই আক্রমণ বীর বিক্রমে আটকে দিয়েছিল। তবে সেই ঘটনায় শহীদ হতে হয়েছিল ২০ জন ভারতীয় বীর সেনাকে। তবে এরপরেও পূর্ব লাদাখে চিনসেনাদের দাপাদাপি কমেনি।
সেনা সূত্রে জানা যাচ্ছে, পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকের আশেপাশের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এখনো ভারতীয় সেনারা তাদের টহলদারী শুরু করতে পারেনি। যে কারণে এখনো রয়েছে চাপা টেনশন। কিন্তু এই টেনশন দূর করতে মোক্ষম পদক্ষেপ নিল ভারত সরকার। এবার ভারত সরকার লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার খুব কাছে নুবরা উপত্যকার থইসে এয়ারবেসে সিভিলিয়ান টার্মিনাল বিল্ডিং তৈরি করার কাজে হাত লাগাল।
আরও পড়ুন ? World Highest Road: বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রাস্তা রয়েছে ভারতেই! কোথায় জানলে গর্বে বুক ভরে যাবে
এই বিল্ডিং তৈরি করার জন্য ১৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ভারত সরকারের তরফ থেকে। এই বিল্ডিং তৈরি হয়ে যাওয়ার পর একদিকে যেমন চীন সেনাদের দাপাদাপির উপর নজরদারি চালানো অনেক সহজ হবে, ঠিক সেইরকমই আবার লাদাখ সহ গোটা কাশ্মীরের পর্যটনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। এই বিল্ডিং তৈরি হয়ে যাওয়ার ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে লাদাখের আকাশ পথে যোগাযোগ বেড়ে যাবে।
এমনিতেই কেন্দ্র সরকারের উড়ান প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন ছোট ছোট শহরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লাদাখ। এরপর আবার এই বিল্ডিং সেই কাজকে আরও সহজ করবে। লাদাখে এমন টার্মিনাল বিল্ডিং তৈরি করার জন্য ৫৩ হাজার বর্গমিটার জায়গা বেছে নেওয়া হয়েছে। শীতের সময় অত্যাধিক ঠান্ডা এবং তুষারপাতের কথা মাথায় রেখে এই বিল্ডিং পুরোপুরি ভাবে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত করা হচ্ছে। এই বিল্ডিং তৈরি হলে ভারত সরকার আরও অনেক স্ট্র্যাটেজিক ভাবে এগিয়ে যাবে।