Try these New Business Ideas at very low cost: একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর প্রতিটি মানুষই চান নিজের সামর্থ্য মতো কোনো একটি জীবিকায় আত্মনিয়োগ করে সাবলম্বী হয়ে উঠতে হয়। অনেকে চাকরি ক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান আবার অনেকে অপরের অধীনে চাকরি না করে নিজের স্বাধীন ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চান। তবে ব্যবসা করবেন ভাবলেই তা করা হয় না। এর জন্য দরকার হয় পুঁজি, নির্দিষ্ট পরিকল্পনা। আর সেই সঙ্গে দরকার হয় নতুন কোনো ব্যবসার আইডিয়া (New Business Ideas)। আর সঠিক ব্যবসায় সঠিক পদ্ধতি মেনে পরিশ্রম করলে সাফল্য অবশ্যই লাভ করা সম্ভব হয়।
আজ এই প্রতিবেদনে এমন একটি ব্যবসার (New Business Ideas) কথা আপনাদের জানাবো যে ব্যবসাতে মাত্র ৫০০০ টাকা বিনিয়োগ করে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত লাভ করা সম্ভব হয়। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই ব্যবসা করার জন্য আপনাকে কোনো বিশেষ সিজনের কথাও ভাবতে হবে না। একটি বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে সারা বছর এর থেকে আয় করা সম্ভব। এই ব্যবসাটি হলো আধুনিক মালচিং পদ্ধতিতে করলা চাষ করা। মনতোষ রাজবংশি নামক এক ব্যাক্তি এই পদ্ধতির মাধ্যমে করলা চাষ করে সম্প্রতি ব্যাপক আয় করেছেন।
চিরাচরিত কৃষি পদ্ধতিকে বাদ দিয়ে ওই কৃষক এক বিঘা জমির উপর মালচিং পদ্ধতিতে করলা চাষ করেছিলেন। প্রচলিত পদ্ধতিতে সাধারণ ভাবে করলা চাষ করলে বছরে মাত্র তিন মাস করলা ফলে। মালদহের কৃষকরা এতদিন পর্যন্ত সাধারন কৃষি পদ্ধতিতে এই তিন মাসই করলার ফলন পেয়ে এসেছেন। তারপরই করলা গাছ গুলি নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু সম্প্রতি পুরনো মালদহের কৃষক মনোতোষ রাজবংশি মালচিং পদ্ধতিতে করলা চাষ শুরু করেন। এই পদ্ধতিতে চাষ করার পর সাত মাস হয়ে গেলেও নিয়মিত এখনো ফলন পাচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন ? Maandhan Yojana: সব ফেল! কেন্দ্রের এই প্রকল্প প্রতিমাসে দিচ্ছে ৩০০০ টাকা, চাষিদের পোয়াবারো
আধুনিক এই মালচিং কৃষি পদ্ধতিতে দীর্ঘদিন গাছের গোড়া ভালো থাকে। কারণ বিশেষ এক রকম পলিথিন দিয়ে গাছের গোড়া ঢাকা দেওয়া হয়। এই পদ্ধতিতে চাষ করার জন্য প্রথমে জমির উপর ফালি তৈরি করা হয়। এরপর জৈব সার ভাল করে মিশিয়ে গাছের চারা লাগানো হয়। পলিথিনের গায়ে ছোট ছোট ছিদ্র করা হয় এবং তারপর ছোটো গাছের চারা রোপন করা হয়। বাকি অংশে মাটি ঢাকা দেওয়া থাকে। এই পদ্ধতিতে চাষ করলে কৃষি জমিতে কোন রকম আগাছা জন্মায় না। পোকামাকড়ের হাত থেকেও গাছটি সুরক্ষিত থাকে। এই কারণেই গাছটির জীবনী শক্তি দীর্ঘদিন জারি থাকে।
এই পদ্ধতিতে চাষ করে মালদার কৃষক ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের মরসুমেও গাছগুলি থেকে সমান হারে ফলন পাচ্ছেন। উপরন্ত তার বক্তব্য অনুসারে জানা যাচ্ছে দিনে দিনে গাছ গুলি আরো সজীব হয়ে উঠছে। তিনি আশা করছেন এই গাছ বলে আরো তিন চার মাস একই ভাবে ফলন দিতে সক্ষম হবে। এক বিঘা জমিতে এই চাষ করতে কৃষকের খরচ হয়েছিল মোট ৩৫ হাজার টাকা। জানা গেছে এখনো পর্যন্ত ওই করলা বিক্রি করে এই ব্যবসার মাধ্যমে (New Business Ideas) তিনি লাভ করেছেন ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। মনতোষ রাজবংশি নামের ওই কৃষক বলেন “গতানুগতিক চাষ করে তেমন লাভ হয় না। মালচিং পদ্ধতিতে চাষ শুরু করে আমি প্রায় দ্বিগুণ বেশি লাভ পেয়েছি। এমনকি দীর্ঘদিন গাছ সতেজ থাকছে। ফলন প্রায় দশ মাস পর্যন্ত পাচ্ছি”।