Mukesh Ambani tops the list of world’s richest CEOs: ভারতের তথা সমগ্র বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় অন্যতম সেরা একটি জায়গা করে নিয়েছেন রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। যদিও এই বছরের শুরুতেই দেশের ধনীতম ব্যক্তির তকমা হারিয়েছিলেন মুকেশ আম্বানি। বছরের শুরুতে তার জায়গা দখল করে নেন আদানি গোষ্ঠীর কর্নধার গৌতম আদানি। তবে বলাই বাহুল্য নিজের ব্যবসায়িক দক্ষতার মাধ্যমে রিলায়েন্স কর্তা খুব অল্প সময়েই আবার নিজের পুরনো জায়গাতে ফিরে গেছেন।
তবে এবার মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) সাফল্যের মুকুটে জুড়লো নতুন পালক। বিশ্বের সমস্ত সেরা সংস্থা গুলির CEO দের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানি। আমাদের দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ব্র্যান্ড ফিনান্সের তরফ থেকে ব্র্যান্ড গার্ডিয়ানশিপ ইনডেক্স নামের একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল দেশের সেরা সংস্থা গুলির CEO দের নিয়ে। সেই সমীক্ষার মাধ্যমেই উঠে এসেছে বিশেষ এই তথ্য।
এই সমীক্ষার তালিকাতে উপস্থিত ছিলেন টেসলা কর্তা এলন মাস্ক, অ্যাপলের টিম কুক, গুগলের সুন্দর পিচাই, মাইক্রোসফটের সত্য নাডেলা প্রমুখ বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা। তাদের প্রত্যেককে পিছনে ফেলে দিয়ে বিশ্বের ধনীতম CEO দের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান তথা ভারতের ধন কুবের মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। অনেকেই মনে করছেন খুব অল্প দিনেই এই তালিকার শীর্ষে চলে আসবেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে সমীক্ষকরা দাবি করেছেন সমস্ত স্টেকহোল্ডার, বিনিয়োগকারী, কর্মী ও বৃহত্তর সমাজের চাহিদার সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখেই নিজেদের ব্যবসা ক্ষেত্রকে সম্প্রসারিত করেছেন এই সমস্ত CEO রা। সমগ্র বিশ্বে একটি ব্যবসায়িক মূল্যবোধ তৈরি করতে পেরেছেন তারা। ২০২৩ সালের এই তালিকা অনুসারে অষ্টম থেকে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছেন Tata সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রার অনীশ শাহ।
এই সমীক্ষা অনুসারে দেখা গেছে রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) বিজিআই স্কোর ৮০.৩। তার উপরেই আছেন চিনা সংস্থা টেনসেন্টের CEO হুয়াটেং মা, যার বিজিআই স্কোর ৮১.৬। সমস্ত সংস্থার সিইওদের কর্মপদ্ধতি থেকে শুরু করে যাবতীয় ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়ের বিবেচনা করে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সমীক্ষার রিপোর্ট গুলি উল্লেখ করে ব্র্যান্ড ফিনান্স জানিয়েছে তাদের কাজের বিভিন্ন বৈচিত্র গুলির দিকে নজর দিয়ে ১৪% নম্বর পেয়েছেন তারা।