নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর শীতের মরশুমে দফায় দফায় বৃষ্টির মুখোমুখি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গ থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গ। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে একটি সিস্টেম বিভিন্ন জায়গায় অবস্থানের কারণে বারবার এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে বাংলাকে। এমনকি শীতের বিদায়ী মুহূর্তে এসেও এইরকম পরিস্থিতি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বঙ্গবাসীরা।
শীতের বিদায় মুহূর্তে এসে নতুন করে ঝড় বৃষ্টি শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে উত্তর থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। এমনকি পরিস্থিতি এমন দিকে গড়িয়েছে যে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে বাংলায় জারি করতে হয়েছে হলুদ সর্তকতা (Storm yellow alert in WB)। কবে থেকে এমন দুর্যোগ নেমে আসবে আর কোন কোন জেলায় দুর্যোগ দেখা যাবে তা নিয়ে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। চলুন সেই পূর্বাভাসের দিকে নজর রাখা যাক।
হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার কারণেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর পাশাপাশি একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায় অবস্থান করার পাশাপাশি সেটি উত্তর-পূর্ব ভারতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই দুইয়ের কারণেই ফের একবার বাংলার বুকে হাওয়া পরিবর্তনের পূর্বাভাস দিচ্ছে হাওয়া অফিস।
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে সেই পূর্বাভাস অনুযায়ী বুধবার অর্থাৎ ২১ ফেব্রুয়ারি বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার এবং আলিপুরে। ওই একই দিনে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পাশাপাশি শিলাবৃষ্টি এবং ঘন্টায় ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কালিম্পং জেলায়। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের এই সমস্ত জেলার জন্য হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে বুধবার।
এখন যদি বৃহস্পতিবারের দিকে তাকানো যায় তাহলে গোটা বাংলা জুড়েই জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। হলুদ সতর্কতা জারি করার অর্থ হলো প্রত্যেকটি জেলার উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে এবং আরও তথ্য প্রদান করা হবে। বৃহস্পতিবার ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদীয়া জেলায়। এর পাশাপাশি উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই ঐদিন বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে।