নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে এর আগেও নীল রঙের প্লাস্টিক রাস্তা (Blue Color Plastic Road) তৈরি হতে দেখা দিয়েছে। প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে তৈরি এই রাস্তা নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। আর এসবের মধ্যেই নতুন করে আরও একটি প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে রাস্তা তৈরি হল। তবে এই রাস্তার মধ্যে রয়েছে আরও একাধিক বৈশিষ্ট্য। যে সকল বৈশিষ্ট্য আবার রাজ্যে প্রথম বলেই জানা যাচ্ছে।
এর আগেও প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে নীল রঙের রাস্তা তৈরি হতে দেখা গিয়েছিল পূর্ব বর্ধমানে, এবারও সেই পূর্ব বর্ধমান এই নতুন নতুন বৈশিষ্ট্য নিয়ে তৈরি হলো প্লাস্টিক বর্জ্যের নীল রঙের রাস্তা। তবে এবারের এই রাস্তায় নতুন নতুন যে সকল বৈশিষ্ট্য রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো, রাতের অন্ধকারেও এই রাস্তা জ্বলজ্বল করবে আর মানুষকে পথ দেখাবে। এই রাস্তায় তাপ বিকিরণ কম হবে, যার ফলে পা গরমে পুড়বে না আর মরীচিকাও হবে না।
নতুন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন এই রাস্তাটি পূর্ব বর্ধমানের কোথায় তৈরি হলো আর এই রাস্তা তৈরীর জন্য কত খরচ হল? মেমারি-২ ব্লকের সাতগাছিয়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়বাটি গ্রামে তৈরি হয়েছে আধুনিক, পরিবেশবান্ধব এই রাস্তা। এখানকার গদাধর রাইস মিল থেকে এসডব্লিউএম প্রজেক্ট পর্যন্ত এই রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। নীল রঙের প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে তৈরি এই রাস্তার মোট দৈর্ঘ্য হল ১৫০ মিটার। রাস্তা দিয়ে তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর এবং কাজ শেষ হয়েছে ২০২৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি।
আরও পড়ুন ? Longest Road of World: এটিই হল বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম রাস্তা! পাড়ি দিতে সময় লাগে কয়েক মাস
নতুন বৈশিষ্ট্য বিশিষ্ট এই রাস্তাটি তৈরি করার জন্য প্লাস্টিক বর্জ্যের পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়েছে বিটুমিনাস। এর পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়েছে থার্মোপ্লাস্টিকের নীল রং, রাসায়নিক বেশ কিছু পদার্থ। বিটুমিনাসের সঙ্গে ৬ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার করা হয়েছে। ১৫০ মিটারের এই রাস্তা তৈরি করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ২৪০ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য।
সাধারণত রাস্তা তৈরি করার ক্ষেত্রে পিচ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু সেই পিচের যম হলো জল। জল পড়লেই পিচ রাস্তা নষ্ট হয়ে যায়। আবার গরমের সময় খুব গরমে পিচ রাস্তা বলতে দেখা যায়। কিন্তু প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে এই যে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে সেগুলি এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে রাস্তাকে রক্ষা করবে। পূর্ব বর্ধমানের নতুন করে এই যে নীল রঙের প্লাস্টিক রাস্তা তৈরি করা হয়েছে তার জন্য মোট বরাদ্দ ছিল ৯ লক্ষ ৫৪ হাজার ৫৫৭.৯৬ টাকা।