নিজস্ব প্রতিবেদন : গণপরিবহনের লাইফলাইন হিসাবে আমরা সবসময়ই ভারতীয় রেলকে (Indian Railways) ধরে থাকি। কেননা ভারতীয় রেলের উপর নির্ভর করে প্রতিদিন দেশের প্রায় এক কোটি মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। তবে এই বিপুলসংখ্যক মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করলেও রেলের বহু জিনিস তাদের কাছে অজানা।
রেলের নিয়ম কানুন থেকে শুরু করে রেলের বিভিন্ন বিষয় সাধারণ মানুষদের কাছে অজানা হলেও ধীরে ধীরে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার ফলে মানুষের সামনে আসছে। যেমন ভারতের সবচেয়ে ছোট নামের স্টেশন আইবি (IB)। ঠিক সেই রকমই কেন অধিকাংশ ট্রেনের রং নীল হয়? কেন স্টেশনের নাম হলুদ বোর্ডের উপর কালো অক্ষরে রাখা হয়? ইত্যাদি বিভিন্ন কৌতূহল পূর্ণ জিনিসপত্র এখন সামনে আসছে।
ঠিক সেই রকমই বাংলায় একটি আজব রেল স্টেশন (Amazing Station In WB) রয়েছে। যে স্টেশনটিতে রয়েছে মোট ৭টি প্ল্যাটফর্ম। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই সাতটি প্ল্যাটফর্ম থেকে যে সকল ট্রেন রওনা দেয় সেগুলি সাতটি জংশনের দিকে রওনা দিয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গের বুকে এই রকম আর কোন রেলস্টেশন নেই। স্বাভাবিকভাবেই যে রেলস্টেশনটির কথা বলা হচ্ছে সেই রেলস্টেশনটি বাংলার গর্বের রেলস্টেশন।
আরও পড়ুন ? Train Body Colour: কেন ভারতের বেশিরভাগ ট্রেনের রঙ নীল! আসল কারণ জানেন না ৯৯% মানুষ
সাতটি প্ল্যাটফর্ম থেকে সাতটি জংশনের উদ্দেশ্যে ট্রেন রওনা দেওয়ার নজির থাকা রেলস্টেশনটি থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীরা যাতায়াত করে থাকেন। গৌরবোজ্জ্বল এই স্টেশনটির এমন গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে ভারতীয় রেলের তরফ থেকে এই স্টেশনটিকে নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় ওই স্টেশনটিকে সাজিয়ে তোলা হবে। এখন দেখে নেওয়া যাক কোন স্টেশনের কথা বলা হচ্ছে।
এমন অনন্য নজির থাকা বাংলার গৌরবোজ্জ্বল স্টেশনটি অবস্থিত পূর্ব বর্ধমানে। যে স্টেশনটির কথা বলা হচ্ছে সেটি হল কাটোয়া জংশন (Katwa Junction)। এখানে মোট সাতটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে এবং সেই সাতটি প্ল্যাটফর্ম থেকে আজিমগঞ্জ, আহমেদপুর, রামপুরহাট, বর্ধমান, হাওড়া, নৈহাটি এবং শিয়ালদার উদ্দেশ্যে ট্রেন রওনা দিয়ে থাকে। কাটোয়া স্টেশন বা কাটোয়া জংশন পূর্ব বর্ধমানের গর্বের একটি স্টেশন।