নিজস্ব প্রতিবেদন : কাজের তাগিদে হোক অথবা ঘুরতে যাওয়া, দক্ষিণবঙ্গের বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতিদিনই উত্তরবঙ্গের দিকে ছুটে যান। ঠিক একইভাবে উত্তরবঙ্গ থেকেও বিপুল সংখ্যক মানুষ ছুটে আসেন দক্ষিণবঙ্গে। যে সকল মানুষেরা উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে যাতায়াত করেন তাদের বড় অংশ রেল পরিষেবার উপর নির্ভর করেই যাতায়াত করেন। এই সকল যাত্রীদের জন্য এবার বড় এক উপহার দিতে চলেছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)।
হাওড়া হোক অথবা শিয়ালদা যেকোন রেলস্টেশন থেকেই উত্তরবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছানোর জন্য অধিকাংশ ট্রেনকেই ৫৬৭ থেকে ৫৭৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। তবে এবার রেলের তরফ থেকে যে উপহার দেওয়া হতে চলেছে তার ফলে শিয়ালদা থেকে নিউ জলপাইগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার ট্রেনগুলিকে ৫৫৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। এক্ষেত্রে ২১ কিলোমিটার পথ কমে যাবে। ২১ কিলোমিটার পথ কমে যাওয়ার ফলে যাতায়াতের সময়ও অনেক কমে যাবে।
রাস্তা কমে যাওয়ার পাশাপাশি নতুন লাইন উপহার দেওয়ার ফলে ট্রেনের যাতায়াতের সময়ও অনেক কম লাগবে। শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, এর পাশাপাশি শনিবার রেলের তরফ থেকে যে উপহার দেওয়া হতে চলেছে তার ফলে মুর্শিদাবাদ সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদের দিল্লি সহ উত্তর ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। এখন প্রশ্ন হল রেলের তরফ থেকে কি উপহার দেওয়া হতে চলেছে?
আরও পড়ুন ? Digha Jaleswar Rail line: আর ঘুরপথে নয়, এবার দীঘা থেকেই সোজা ট্রেনে জলেশ্বর, সুখবর দিল রেল
রেলের তরফ থেকে শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত দিয়ে উপহার দেওয়া হতে চলেছে নবনির্মিত আজিমগঞ্জ থেকে মুর্শিদাবাদ নতুন লাইন। এরই সঙ্গে সঙ্গে উপহার দেওয়া হতে চলেছে নশিপুর রেল সেতু। আজিমগঞ্জ থেকে মুর্শিদাবাদ নতুন লাইনের মধ্যেই পড়ছে নশিপুর রেল সেতু। শনিবার সকালবেলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নদীয়ার কৃষ্ণনগর থেকে নতুন এই লাইন এবং নশিপুর রেল সেতুর উদ্বোধন করবেন। দীর্ঘ সময় ধরে মুর্শিদাবাদ সহ রাজ্যের মানুষেরা এই রেললাইন এবং রেল সেতুর অপেক্ষায় ছিলেন। অবশেষে শনিবার সেই স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে।
আজিমগঞ্জ থেকে মুর্শিদাবাদ নতুন লাইনের উদ্বোধনের জন্য গ্রিন সিগন্যাল দেওয়ার আগে ১৪ কোচের একটি ট্রেন চালিয়ে ট্রায়াল রান চালানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ট্রায়াল রান চালানোর সময় ওই লাইনে ট্রেনের গতিবেগ ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার উঠেছিল বলেই জানা যাচ্ছে পূর্ব রেল সূত্রে। ট্রায়াল রান চালানোর সময় যাত্রীবাহী ট্রেনের ভার কতটা সহ্য করতে সক্ষম ওই লাইন এবং নশিপুর রেল সেতু তা খতিয়ে দেখার পরই উদ্বোধনের জন্য গ্রিন সিগন্যাল দেয় কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি।