নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিদিনই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটক এবং সাধারণ মানুষেরা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা পাড়ি দিয়ে থাকেন। এই সকল যাত্রীদের বড় অংশ রেল পরিষেবার উপর ভর করেই যাতায়াত করেন। এবার সেই সকল যাত্রীদের জন্য সুখবর যারা কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস (Kanchankanya Express) যাতায়াত করে থাকেন।
রেলের তরফ থেকে সম্প্রতি আস্ত আপ ও ডাউন কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস ট্রেন দুটিকে পুরোপুরিভাবে বদলে ফেলা হয়েছে। নতুন রূপে নতুনভাবে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি ইতিমধ্যেই শিয়ালদা ও আলিপুরদুয়ার জংশনের মধ্যে ছুটতে শুরু করেছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়। আরে এই নতুন যাত্রার ফলে যাত্রীরা আগের তুলনায় অনেক বেশি সুবিধা পাবেন।
আড়াই দশকের বেশি সময় ধরে শিয়ালদা ও আলিপুরদুয়ার জংশনের মধ্যে যাতায়াত করছে ১৩১৪৯/১৩১৫০ কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত এই ট্রেনটি ICF কোচ নিয়ে যাতায়াত করত। এবার তুলনামূলক কম সুবিধা এবং কম সুরক্ষিত আইসিএফ কোচ সরিয়ে দেওয়া হলো কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস থেকে। আর এর পরিবর্তে রেলের তরফ থেকে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে এলএইচবি কোচ (Kanchankanya Express LHB Coach)।
আরও পড়ুন ? Kolkata to North Bengal: কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ, পথ কমবে ২১ কিমি, বড় উপহার রেলের
কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসের রূপে গুণে আপাদমস্ত পরিবর্তন এলেও টাইমটেবিলে কোন পরিবর্তন আনা হয়নি। আগের মতই এই ১৩১৪৯ ট্রেনটি প্রতিদিন রাত ৮:৩৫ মিনিটে শিয়ালদা স্টেশন থেকে ছাড়বে এবং সঠিক সময়ে চললে পরদিন দুপুর ১২:১৫ মিনিটে আলিপুরদুয়ার জংশনে পৌঁছাবে। অন্যদিকে দুপুর ৩:১৫ মিনিটে আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে ১৩১৫০ ট্রেনটি ছাড়বে এবং সঠিক সময়ে চললে পরদিন সকাল ৮:২০ মিনিটে শিয়ালদা স্টেশন এসে পৌঁছাবে।
এলএইচবি কোচ অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি হওয়ার কারণে লোহার আইসিএফ কোচের তুলনায় অনেক হালকা। এছাড়াও এলএইচবি কোচ আইসিএফ কোচের তুলনায় অনেক দ্রুত গতিতে ছুটতে সক্ষম। পাশাপাশি এলএইচবি কোচ এমনভাবে তৈরি যার ফলে যদি দুর্ঘটনাও ঘটে তাতে একটি কোচের উপর অন্য কোচ চেপে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। যে কারণে প্রাণহানির মতো ঘটনা অনেক কম হয়। এছাড়াও এলএইচবি কোচে মোবাইল চার্জিং ব্যবস্থা থেকে শুরু করে উন্নতমানের টয়লেট এবং আরও বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে যাত্রীদের।