Election Commission’s new rules allow you to vote at home: গণতান্ত্রিক ভারতবর্ষে বসবাসকারী ১৮ বছর বয়সের ঊর্ধ্বের নাগরিকদের জন্য ভোটাধিকার হলো তাদের নাগরিকত্বের অধিকার। তবে অনেকেই শারীরিক অক্ষমতা সহ আরো নানান কারণে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করে নিজের এই গণতান্ত্রিক অধিকারটিকে প্রয়োগ করতে পারেন না। সামনেই আসছে লোকসভা নির্বাচন। যেসব মানুষরা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন না তাদের জন্য এবার বিশেষ একটি নিয়ম করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission Rules) কর্তৃপক্ষ।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নতুন এই নিয়ম (Election Commission Rules) অনুসারে যেসব ব্যক্তিরা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন না তাদের জন্য বাড়িতে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। বাড়িতে বসে ভোট দান করার এই পদ্ধতিকে বলা হয় হোম ভোটিং। বিশেষভাবে সক্ষম মানুষরা, যাদের চল্লিশ শতাংশ অক্ষমতার সার্টিফিকেট আছে এবং ৮০ বছরের ঊর্ধ্বের বয়স্ক মানুষরা হোম ভোটিং পদ্ধতির মাধ্যমে বাড়িতে বসেই ভোট দেওয়ার সুবিধা পাবেন।
নির্বাচন কমিশনের চালু করা নতুন এই নিয়ম অনুসারে ঘোষণা করা হয়েছে ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার পাঁচ দিনের মধ্যে হোম ভোটিং এর সুবিধা পাওয়ার জন্য ১২ নম্বর ফর্ম পূরণ করে রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন জানাতে হবে। ব্লক লেভেল আধিকারিক বা BLO আবেদনকারীর পূরণ করা আবেদন পত্রটি তার বাড়িতে গিয়েই সংগ্রহ করে আনবেন। বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে তাদের শারীরিক অক্ষমতার প্রমাণ পত্র অর্থাৎ শংসাপত্রটি জমা করতে হবে। এই আবেদনের মাধ্যমেই হোম ভোটিং এর সাহায্যে ভোটদান এর সুবিধা লাভ করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন ? New System of ECI: ভোটের লাইনে কত ভিড়! এবার বাড়িতে বসেই জানতে পারবেন ভোটাররা
হোম ভোটিং অর্থাৎ বাড়িতে বসে ভোট দান পদ্ধতির মাধ্যমে ভোট দান করার জন্য কত জন আবেদন জানিয়েছেন তা ওই ভোটারের নির্বাচন কেন্দ্রের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা সংগ্রহ করতে পারবেন। সে রাজনৈতিক দলের সদস্যদের প্রতিনিধিরাও বাড়ি থেকে ভোট দান করার এই পদ্ধতিতে সাহায্য করতে পারবেন। ভোটের দিন আবেদনকারীদের বাড়ি থেকে তাদের ভোট সংগ্রহ করার জন্য কমিশনের বেশ কয়েকজন আধিকারিক সেই ভোটারের দেওয়া নির্দিষ্ট ঠিকানায় হাজির হবেন।
নির্বাচন কমিশনের নতুন এই নিয়ম (Election Commission Rules) অনুসারে বলা হয়েছে যে ভোটারের বাড়িতে যাওয়া হবে তাকে আগে থেকেই এই বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে। ভোট কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ পাহারা ও একজন ভিডিয়োগ্রাফার থাকবেন। মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদনকারীকে এও জানিয়ে দেওয়া হবে যে তার বাড়িতে কোন কর্মীরা এসে ভোট সংগ্রহ করবেন। সমস্ত গোপনীয়তা বজায় রেখে পুলিশি পাহারায় বাড়ি থেকে এই ভোট সংগ্রহ করা হবে।