Shahpurkandi Dam: বেশি চীন প্রীতির ফল! ভারতের এই বন্দোবস্তে শুকিয়ে মরে যাবে পাকিস্তান

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

India stopped the water of Shahpurkandi Dam: ভারতের একটি সিদ্ধান্তে বদলে যেতে চলেছে পাকিস্তানের ভাগ্য। ১৯৬০ সালে হওয়া সিন্ধু জল চুক্তি অনুযায়ী ইরাবতী নদীর জলের ১০০ শতাংশ ভারতের অধিকারে। বিশ্বব্যাঙ্কের তত্ত্বাবধানেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। শাহপুরকান্দি বাঁধের (Shahpurkandi Dam) মাধ্যমে ইরাবতীর জল ধারণের কথা ছিল কিন্তু বন্ধ ছিল এই ব্যবস্থা। এই প্রকল্প বন্ধ হবার মূল কারণ ছিল জম্মু ও কাশ্মীর এবং পঞ্জাবের মধ্যকার ঝামেলার জন্যে। সেই কারণেই ইরাবতী নদীর জল এত বছর ধরে পাকিস্তানে পৌঁছে যাচ্ছিল। এবার কিন্তু সেই সুবিধা আর পাবেন পাকিস্তান।

Advertisements

১৯৬০ সালে যে সিন্ধু জল চুক্তি হয়েছে সেটা অনুযায়ী ইরাবতী বা রাবি বাদেও শতদ্রু নদী বা শতলুজ, বিপাশা নদী বা বিয়াসের জলের ওপর ভারতের পূর্ণ অধিকার আছে। আবার অন্যদিকে পাকিস্তানের সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে সিন্ধু, ঝিলাম এবং চেনবের ওপরে।

Advertisements

ইরাবতী নদীর উৎপত্তি হয়েছে ভারতের হিমাচল প্রদেশের কাঙরা জেলার বাড়া ভাঙ্গালে। জনপ্রিয় এই নদীটির প্রবাহিত হয়েছে পীর পঞ্জাল এবং ধৌলাধর শ্রেণির মধ্যে দিয়ে। কিন্তু যে সিন্ধু জল চুক্তি করা হয়েছে সেটা অনুযায়ী এই নদীর জল পাকিস্তানে আর কোনোভাবেই যাওয়া যাবে না এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি। জম্মু ও কাশ্মীরের দুই জেলা কাঠুয়া ও সাম্বায় কৃষি সেচের জন্য ব্যবহার করা হবে শাহপুরকান্দি বাঁধের (Shahpurkandi Dam) জল। পাশাপাশি এই প্রকল্পের জল ব্যবহার করা হবে জলবিদ্যুতের জন্য যার ২০ শতাংশ পাবে জম্মু ও কাশ্মীর।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Semiconductor Factory in India: রাতের ঘুম উড়লো চীনের, চিপ তৈরিতে এবার খেল দেখানো শুরু করলো ভারত

তৎকালীন জম্মু ও কাশ্মীর এবং পাঞ্জাব সরকার ১৯৭৯ সালে যৌথভাবে জম্মু ও কাশ্মীর এবং পঞ্জাবের সীমান্তে রঞ্জিত সাগর বাঁধ এবং শাহপুরকান্দি বাঁধ (Shahpurkandi Dam) তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরবর্তীকালে অবশ্য ১৯৮২ সালে ইন্দিরা গান্ধী এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল ১৯৯৮ সালে কিন্তু রঞ্জিত সাগর ড্যামের কাজ শেষ হয় ২০০১ সালে। আবার শাহপুর কান্দি ব্যারেজের কাজ তখনও শুরুই হয়নি।

শাহপুরকান্দি বাঁধকে (Shahpurkandi Dam) ভারত সরকার ২০০৮ সালে জাতীয় প্রকল্প হিসেবে ঘোষণা করে এবং পরে ২০১৪ সালে দুই রাজ্যের বিবাদের কারণে এই প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীকালে আবার ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যস্থতায় দুই রাজ্যের বিবাদ মিটিয়ে ফের কাজ শুরু হয়। সেই কাজ কিছুদিন আগে শেষ হয়েছে।

Advertisements