নিজস্ব প্রতিবেদন : ইসরো প্রধান এস সোমনাথের (ISRO Chief S Somanath) হাত ধরে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগার নতুন নতুন অধ্যায় লিখতে শুরু করেছে। তার হাত ধরেই ভারত প্রথম চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করেছে, যার ফলে বিশ্বের প্রথম কোন দেশ হিসাবে এমন স্বীকৃতি অর্জন করেছে ভারত। এরপরই আবার সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয় আদিত্য এল১, যা এখন সূর্যকে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে।
এছাড়াও এস সোমনাথের আমলেই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগার আরও নতুন নতুন অধ্যায় লিখতে শুরু করেছে। তার আমলেই চলছে গগনযানের পরীক্ষা নিরীক্ষা। তবে তিনি যখন ভারতীয়দের একের পর এক সুখবর দিয়ে চলেছেন ঠিক সেই সময় তাকেই একটি খারাপ খবর ঘিরে ধরল। কেননা তিনি এখন মারণ ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত। একটি সংবাদমাধ্যমকে যাওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই বিষয়টি জানিয়েছেন।
ওই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের সময় ইসরো প্রধান এস সোমনাথ নিজে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এই খবর দেওয়ার পাশাপাশি জানিয়েছেন, যেদিন আদিত্য এল১ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল সেই দিনই তিনি জানতে পারেন নিজের রোগের কথা। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, চন্দ্রযান ৩ মিশনের সময় তার শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তবে তিনি কখনোই ভাবতে পারেননি তাকে ক্যান্সার ঘিরে ধরবে।
পরবর্তীতে তার শারীরিক সমস্যা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করলে চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হন এবং বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই আদিত্য এল১ উৎক্ষেপণের দিন রিপোর্ট আসে। আর সেই রিপোর্টেই ধরা পড়ে ক্যান্সার। ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছেন জানতে পেরেই এস সোমনাথ এবং তার পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পড়েন। পাশাপাশি সহকর্মীরাও ভেঙ্গে পড়েছিলেন। তবে সবাই একসঙ্গে থেকে লড়াই চালান।
এরপর চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী শুরু হয় কেমোথেরাপি এবং ক্যান্সার আক্রান্ত স্থানে অপারেশন হয়। বর্তমানে তিনি সুস্থ রয়েছেন বলেই জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি ক্যান্সার হলে সুস্থ হয়ে পুনরায় স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাওয়া যায় তা তিনি ভেবে উঠতে পারেননি। তবে অত্যাধুনিক এখন চিকিৎসা তার ধারণা বদলে দিয়েছে এবং তিনি জানিয়েছেন, ক্যান্সার নিরাময় সম্ভব আর তার জন্য মনের জোর রাখতে হবে। তিনি এও জানিয়েছেন, অপারেশন হওয়ার মাত্র চার দিনের মধ্যে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং তারপরেই ফের ইসরোর কাজ শুরু করে দেন।