Viksit Bharat 2047 two long term plan launched by Narendra Modi: ২০২৪-এ রয়েছে লোকসভা ভোট। ক্ষমতায় আসতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে নিজ নিজ দল। তার মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে নরেন্দ্র মোদির “বিকশিত ভারত ২০৪৭” (Viksit Bharat 2047)-এর পরিকল্পনা। সূত্রের খবর ৩রা মার্চ রবিবার কেন্দ্রীয় নির্বাচনের আগে শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠক বসেছিল। সেখানেই আলোচিত হয় মোদির দুই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। যা বুঝিয়ে দেয় মোদি সরকারের নিশ্চিত প্রত্যাবর্তন।
প্রশ্ন জাগছে “বিকশিত ভারত ২০৪৭” (Viksit Bharat 2047) কি? এটি হলো রোডম্যাপ বা নীল নকশা। যা ইংরাজিতে “ব্রেইনস্টর্মিং” নামে পরিচিত। এটি এমন একটি নথি যেখানে ভারতবর্ষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, আর্থিক উন্নতি, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, জাতীয় দৃষ্টিকোণ, আকাঙ্ক্ষা, ব্যবসায়িক উন্নতি প্রভৃতি বিষয়গুলির উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। যা ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত করবে নরেন্দ্র মোদি। অর্থাৎ ভারতকে উন্নত দেশগুলির তালিকাভুক্ত করাই হলো এই “বিকশিত ২০৪৭”-এর মূল লক্ষ্য।
এর জন্য তৈরি হয়ে গিয়েছে নীল নকশা। গত রবিবার দুই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বিষয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। একটি বিশদ কর্মপরিকল্পনা। যা আগামী পাঁচ বছরে বিকশিত হবে। আরেকটি ১০০ দিনের পৃথক পরিকল্পনা যা নির্বাচনের পর মন্ত্রী গঠন হওয়ার সাথে সাথেই পরিকল্পনাগুলি বাস্তবায়িত করা হবে।
আরও পড়ুন ? Most Powerful Indians: দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ভারতীয় মোদি, দেখে নিন কত নম্বরে মমতা, কত নম্বরে রাহুল
তবে এইসব আলোচনা কিন্তু একদিনে বসে হয়নি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা চলেছে। শিক্ষা জগত, শিল্প জগত, রাজ্য সরকার, যুব সমাজ সহ বহু স্টকহোল্ডারদের নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে বহুবার সেমিনার, কর্মশালা, সভা বসেছে। বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। যেখানে পরামর্শ দিয়েছে প্রায় ২০ লক্ষেরও বেশি তরুণ। এই সবকিছু মিলিয়ে নথিতে প্রায় ৪৫০টি সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রায় ২৭০০টি সভা, সেমিনার, কর্মশালা বসেছে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য।
শুধু তাই না, এই “বিকশিত ২০৪৭” (Viksit Bharat 2047)‐এর বিষয়টি বাজেট পেশেও প্রতিস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী সীতারমন। সেই সময় তিনি এও জানিয়েছিলেন যে, মোদি সরকার এর জন্য একটি মডেল তৈরি করবে। ভোটের আগেই সেই স্বপ্ন পূরণের কাজ যে মোদি সরকার শুরু করে দিয়েছে তা নির্বাচনের শেষ বৈঠক প্রমাণ করে দিয়েছে। তার প্রত্যাবর্তন বিষয়ে তিনি কতটা আত্মবিশ্বাসী তারও প্রমাণ দিচ্ছে।