নিজস্ব প্রতিবেদন : কথামতোই কাজ, কথামতোই মঙ্গলবার বিচারপতির পদ ছাড়লেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। শুধু বিচারপতির পদ ছাড়া নয়, পাশাপাশি এদিন দুপুরবেলা সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিলেন তার ভবিষ্যতের পথ চলার রূপরেখা। তিনি জানিয়ে দিলেন, আগামী দিনে তিনি বিজেপিতেই যোগ দেবেন এবং রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে কাজ করবেন।
রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার এবং বিজেপিকেই বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে একমাত্র লড়াই করছে বিজেপি। এছাড়াও তিনি আগামী দিনে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ লক্ষ ভোটে হারাবেন বলেও দাবি করেছেন। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি তিনি তৃণমূলের বিভিন্ন দুর্নীতির কাজকর্মের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন এক হাত নেন। আগামী দিনের তৃণমূলের জনগর্জন সভাকে জন মিউ মিউ সভা হবে বলেও কটাক্ষ করেন।
এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি নারদা স্টিং অপারেশন অর্থাৎ নারদা কাণ্ড নিয়েও মুখ খোলেন (Abhijit Gangopadhyay on Narada Sting Operation)। এই কাণ্ড নিয়ে মুখ খুলতেই তাকে বিস্ফোরক দাবি করতে দেখা যায়। তিনি বিস্ফোরক দাবি করে জানিয়ে দেন, কে নারদা কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন এবং সেই নারদা কান্ডের মূল উদ্দেশ্য কি ছিল। তিনি নারদা কান্ডকে কোনরকম স্টিং অপারেশন বলতেই চাননি।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দাবি করেন, “নারদা কান্ড ঘটিয়েছিলেন তালপাতার সেপাই। যাকে সবাই দলের সেনাপতি বলে থাকেন। তিনি নারদা কান্ড ঘটিয়ে ছিলেন দলের বর্ষীয়ান নেতাদের বিরুদ্ধে। পুরোটাই চক্রান্ত। তৃণমূলের ওই তালপাতার সেপাইয়ের ক্ষুর শ্বশুরের এলকামিস্ট নামে একটি কোম্পানি ছিল আর সেই কোম্পানিকে দিয়ে এমনটা করানো হয়েছিল। ওই তাল পাতার সেপাই যখন রাজনীতিতে দাঁড়াতে চেয়েছিল তখন সে তাদের সিনিয়র নেতাদের নামে বদনাম রটিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই চক্রান্ত করেছিল। ওই বিষয় নিয়ে এখন ইডি তদন্ত শুরু করেছে।”
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন নাম না করলেও স্পষ্ট ভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই স্টিং অপারেশন করিয়েছিলেন। যাই পরবর্তীতে নারদা কাণ্ড বা নারদা স্টিং অপারেশন নামে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। যে ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে মুকুল রায়, সৌগত রায়, ফিরহাদ হাকিম সহ দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতানেত্রীদের। এই ঘটনায় তৃণমূল নেতারাই তৃণমূল নেতার কাছে চক্রান্তের শিকার হয়েছিলেন বলেই দাবি করলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।