নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিদিন দেশের দুই কোটির কাছাকাছি মানুষ রেল পরিষেবার ওপর ভর করে যাতায়াত করে থাকেন। এই বিপুলসংখ্যক যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তা দিতে রেলের (Indian Railways) তরফ থেকে প্রতিনিয়ত নানান ধরনের কাজ চালানো হচ্ছে। ঠিক সেই রকমই রেলের তরফ থেকে যাত্রী সাচ্ছন্দ ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে চালু করা হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস হল দেশের প্রথম সেমি হাই স্পিড ট্রেন। তবে সেমি হাইস্পিড ট্রেন হলেও এর গতিবেগ নিয়ে সাধারণ যাত্রী থেকে মানুষদের মধ্যে নানান অভিযোগ রয়েছে। ঘন্টায় ১৩০ কিলোমিটার গতিবেগে ছোটার পরিকল্পনা থাকলেও কিন্তু বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এখনও পর্যন্ত দেশের এই লক্ষমাত্রা পূরণ করতে পারেনি। কখনো কখনো গতিবেগ ঘন্টায় ১৩০ কিলোমিটার থাকলেও অধিকাংশ সময় গতিবেগ অনেক কম থাকে। কিন্তু এবার রেলের তরফ থেকে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে যাতে করে নামের পাশাপাশি কাজেও বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express Speed Increase) সাঁই সাঁই করে ছুটতে পারে।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের গড় গতিবেগ ঘন্টায় ১৩০ কিলোমিটার থেকে ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটারে উত্তীর্ণ করার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছেন প্রযুক্তিবিদরা। আসলে ট্রেনের ইঞ্জিন শক্তিশালী হলেই যে ট্রেন দ্রুতগতিতে ছুটতে পারবে এমন নয়। কেননা ট্রেনকে দ্রুতগতিতে ছোটার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত রেল ট্র্যাক থেকে শুরু করে সমস্ত ধরনের পরিকাঠামো। আর এই সকল কাজই শুরু হয়েছে এবার।
আরও পড়ুন ? Indian Railways Bullet Train: বন্দে ভারত অতীত! এবার আসছে ৬টি বুলেট ট্রেন, বড় পদক্ষেপের পথে কেন্দ্র
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা ও চেন্নাইকে জুড়ে যে সোনালী চতুর্ভুজ রয়েছে সেই চতুর্ভুজ বরাবর এখন আপাতত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সহ অন্যান্য ট্রেন যাতে আরও দ্রুতগতিতে ছুটতে পারে তার জন্য পরিকাঠামোগত কাজ শুরু হয়েছে। আগামী দিনে সমস্ত বন্দে ভারতের গতি বৃদ্ধি করা হবে এবং সেই মতো পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। এখন প্রথম দফায় কাজের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে মুম্বাই থেকে দিল্লি এবং হাওড়া থেকে দিল্লি রুট।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের গতি বৃদ্ধি করার জন্য কি কি কাজ করা হচ্ছে? বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন ঘন্টায় ১৮০ কিলোমিটারেরও বেশি গতিবেগে ছুটতে পারে এমন ক্ষমতা রয়েছে। তবে এই ক্ষমতা থাকার পাশাপাশি এখন ট্র্যাকের ক্ষমতা বৃদ্ধি করার কাজ চালানো হচ্ছে যা সবচেয়ে জরুরী। এর পাশাপাশি আরও একটি কাজ করা হচ্ছে আর সেটি হল, ট্র্যাকের আশেপাশে ফেন্সিংয়ের কাজ। এই বেরা দেওয়ার কাজ হয়ে গেলে গবাদিপশু সহ অন্যান্যদের সহজে ট্র্যাকে প্রবেশ করা সম্ভব হবে না।