নিজস্ব প্রতিবেদন : RD অর্থাৎ রেকারিং ডিপোজিট, যার মাধ্যমে প্রতি মাসে মাসে উপভোক্তারা তাদের টাকা ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করে থাকেন। এছাড়াও রেকারিং ডিপোজিটে সুদের পরিমাণও অনেক বেশি পাওয়া যায়। যে কারণে অনেক গ্রাহক রয়েছেন যারা রেকারিং ডিপোজিটে টাকা রাখতে পছন্দ করেন। তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় রেকারিং ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আজ আমরা আমাদের এই প্রতিবেদনে জানাবো কেন রেকারিং ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যায় আর সেই বন্ধ হয়ে যাওয়া রেকারিং ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট কিভাবে পুনরায় খোলা (Closer RD Account Reopen Process) যেতে পারে।
বন্ধ হওয়া রেকারিং ডিপোজিট কিভাবে খোলা যায় তা জানার আগে জেনে নেওয়া দরকার এই ধরনের অ্যাকাউন্ট যাদের রয়েছে তারা কত সুদ পেয়ে থাকেন এবং কেন তাদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যায়। ব্যাঙ্ক হোক অথবা পোস্ট অফিস, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রেকারিং ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট করা যেতে পারে। ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে গ্রাহকরা এক বছর থেকে তিন বছরের জন্য রেকারিং ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। তবে পোস্ট অফিসের ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের জন্য এই ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলা যায়।
পোস্ট অফিসে যেমন বেশি সময়ের জন্য রেকারিং ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খোলা যায়, ঠিক সেই রকমই আবার পোস্ট অফিসে সুদের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি থাকে। পোস্ট অফিসে আমানতকারীরা ৬.৭% সুদ পেয়ে থাকেন। আবার পোস্ট অফিসে এই ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে ন্যূনতম টাকা জমা দেওয়ার পরিমাণ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তুলনায় অনেক কম। যে কারণে গ্রাহকরা পোস্ট অফিসের উপর বেশি ঝোঁকেন।
আরও পড়ুন ? পোস্ট অফিসে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলার আগে জানতে হবে এই সকল নিয়ম
তবে রেকারিং ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যায় মূলত টানা চার মাস কোন টাকা জমা না দেওয়ার কারণে। নিয়ম অনুযায়ী টাকা জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের নিজের নিজের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিতে হয়। এক্ষেত্রে টানা চার মাস নির্ধারিত দিনের মধ্যে আমানতকারীরা টাকা জমা না দিলে ধরে নেওয়া হয় ওই আমানতকারী এই বিষয়টি নিয়ে খুব আগ্রহ নন। যে কারণেই তাদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হলেও পুনরায় তা খোলার পদ্ধতি রয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী কোন আরডি অর্থাৎ রেকারিং ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তা পুনরায় খোলার জন্য দু’মাসের মধ্যে আবেদন করতে হবে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে পুনরায় ওই অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়। তবে অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হলেও তার জন্য দিতে হবে জরিমানা। এছাড়াও বকেয়া টাকা আমানতকারীকে মিটিয়ে দিতে হবে। কিন্তু যদি কোন আমানতকারী দু’মাসের মধ্যে অ্যাকাউন্ট পুনরায় খোলার জন্য আবেদন না করেন তাহলে তার ওই অ্যাকাউন্ট পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়।