নিজস্ব প্রতিবেদন : ব্রিগেড সমাবেশে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের তরফ থেকে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। লোকসভার এই প্রার্থী ঘোষণার পরই বিভিন্ন জায়গা থেকে নেতা-নেত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ চোখে পড়ছে। টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন অর্জুন সিং, অন্যদিকে অর্জুন সিংকে ছাপিয়ে অভিনেত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানার্জি (Sayantika Banerjee)।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ায় হেরেও লাগাতার দলের হয়ে বাঁকুড়া ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় তাকে ছুটে যেতে দেখা গিয়েছে। তিনি বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে প্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু দল তাকে টিকিট দেয়নি। আর এরপরই রীতিমত গোঁসা হয় তার, এরপরই রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তিকা ব্যানার্জি নিজের পদ থেকে ইস্তাফা দেওয়ার জন্য পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দেন সভাপতি সুব্রত বক্সিকে, এমনই জানা যায় (যদিও পরে সংবাদমাধ্যমে সায়ন্তিকা জানান, তিনি পদত্যাগ করেন নি। ওটা ভুয়ো)। চলুন দেখে নিই গোঁসা করা এই অভিনেত্রী কত টাকার মালিক (Property Details of Sayantika Banerjee)।
বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় সায়ন্তিকা নির্বাচন কমিশনে নিয়ম মেনে ২০২১ সালে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন। যে হলফনামায় দেখা গিয়েছে, তার কাছে রয়েছে একটি ৪৩ লাখ ৫৬ হাজার ৪৩৬ টাকার একটি মার্সিডিজ বেনজ্ গাড়ি। এর পাশাপাশি বিপুল সম্পত্তির মালিক হলেও তার ঋণের বোঝাও কিন্তু কম নয়। টলিউডের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর মাথায় সেই সময় ঋণের বোঝা ছিল ৪০ লাখ ৮৭ হাজার ২৪০ টাকার।
হলফনামা অনুযায়ী সায়ন্তিকা ব্যানার্জির মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ সেই সময় ছিল ৪৫ লক্ষ ৫৯ হাজার ৪৬২.২৬ টাকা। এছাড়া জমি জমা অথবা অন্য কোন কিছু নেই অভিনেত্রীর নামে। আবার তার কাছে থাকা অলংকারের পরিমাণও সেই সময় ছিল নামমাত্র। তার কাছে ছিল মাত্র ৩.৫২ গ্রাম সোনা। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় যার বাজার মূল্য ছিল ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৪৩৬ টাকা।
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে ২০০৮ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক হন। কলকাতাতেই তার পড়াশোনা এবং তারপর অভিনয় জগতে পা রাখার পাশাপাশি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলে যোগ দেওয়া। শাসক দল তৃণমূলে যোগ দিয়েই ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তিনি টিকিট পেয়েছিলেন। তবে এরপর লোকসভা নির্বাচনের টিকিটের বিষয়েও তার মধ্যে অনেক প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার কারণেই এমন পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা।