নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘ জল্পনার পর অবশেষে সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন CAA চালু করে দেওয়ার ঘোষণা করা হলো। এই ঘোষণার ফলে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে আফগানিস্তান, পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষেরা অনেক সহজে ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন।
২০১৯ সালে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে পাশ করা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সহজ ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেমন আগে ১৪ বছরের মধ্যে ১১ বছর ভারতে থাকতে হতো এবং এক বছর টানা থাকতে হতো। এই নিয়মে পরিবর্তন এনে এবার বলা হয়েছে পাঁচ বছর ভারতে থাকার পাশাপাশি টানা এক বছর ভারতে থাকলেই নির্দিষ্ট করে দেওয়া সম্প্রদায়ের মানুষ যারা নির্দিষ্ট করে দেওয়া দেশগুলি থেকে এসেছেন তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কীভাবে করবেন আবেদন (CAA offline apply process)?
নতুন এই আইন নিয়ে দেশজুড়ে নানান বিতর্ক তৈরি হতে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন সময়। তবে মতুয়া সম্প্রদায় সহ অন্যান্য যে সকল সম্প্রদায়ের মানুষেরা মুসলিম অধ্যুষিত বিভিন্ন দেশ থেকে অত্যাচারিত হয়ে ভারতে শরণার্থী হিসেবে এসেছেন তারা খুশি এবং নতুন এই আইনকে স্বাগত জানিয়েছেন। নতুন আইন অনুযায়ী তারা সহজেই নাগরিকত্ব পাবেন। এই সকল শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে ৭ ধরনের ফর্ম (CAA Form) প্রকাশ করল কেন্দ্র।
আরও পড়ুন ? Details about CAA: চালু হল সিএএ, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের সঙ্গে ২০১৯ এর পার্থক্য কোথায়!
সিএএ চালু হওয়ার পরই https://indiancitizenshiponline.nic.in/ ওয়েবসাইটে এইসব ফর্ম কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে আপলোড করা হয়েছে। যেখানে আপনি সমস্ত ধরনের ফর্মের স্যাম্পেল দেখতে পাবেন এবং নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য কি কি প্রয়োজন হবে ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন। সেই মতো আপনাকে সমস্ত কাগজপত্র জোগাড় করে আবেদন করতে হবে।
এর পাশাপাশি এই ওয়েবসাইটেই আপনি জেনে নিতে পারবেন আপনার নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য কত টাকা ফি জমা দিতে হবে। ফি আগে শরনার্থীরা কোন দেশের নাগরিক বা তাদের কোন দেশের নাগরিকত্ব ছিল তার ওপর নির্ভর করছে। কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ওই ওয়েবসাইটে যে সকল ফর্ম দেওয়া হয়েছে সেগুলি আবেদনকারীরা ডাউনলোড করে তা পূরণ করার পর ডিএম অফিস অথবা ডিসি অফিসে জমা দিতে পারেন।