UPSC: ২৩ বছরে প্রথম প্রচেষ্টাতেই UPSC ক্র্যাক! চিনে নিন অল্প বয়সী বঙ্গ তনয়া তমালিকে

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

In just 23 years Bengali girl Tamali Cracked UPSC: ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC) ভারতের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা গুলির মধ্যে অন্যতম। এই পরীক্ষার জন্য দিনের পর দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে হাজার হাজার পরীক্ষার্থী। প্রতি বছর প্রায় ১০০০০০০ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় বসে থাকেন। তারপরও সাফল্য বেশিরভাগ পরীক্ষার্থীর কাছেই অধরা থেকে যায়। অনেক দিনের কঠোর পরিশ্রমের পর সাফল্য ছুঁতে পারে খুব কম সংখ্যক কিছূ পরীক্ষার্থী। এদিকে মিরাকেল ঘটিয়েছেন বঙ্গ তনয়া তমালি। তিনি প্রথম প্রচেষ্টাতেই ইউপিএসসি ক্র্যাক করে নজির সৃষ্টি করেছেন।

Advertisements

আমরা কথা বলছি এমন একজন আইএফএস অফিসারকে নিয়ে যিনি সৌন্দর্যের দিক দিয়ে অভিনেত্রী দেরও টক্কর দিতে পারেন। তিনি নিজের কঠোর অধ্যাবসায়, ইচ্ছা শক্তি ও আত্ম বিশ্বাসের উপর ভর করে প্রথম প্রচেষ্টাতেই ইউপিএসসি (UPSC) -এর মতো কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে আইএফএস অফিসার হিসাবে চাকরিতে যোগদান করবেন মাত্র ২৩ বছর বয়সে। হাতে গোনা কিছু পরীক্ষার্থী একবারের চেষ্টায় ইউপিএসসি ক্রাক করতে পারেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন তমালি সাহা। চলুন জেনে নেওয়া যাক তার পরিচয়।

Advertisements

যার সাফল্য নিয়ে এত কথা বলছি তার নাম তমালি সাহা। তমালী সাহা পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাসিন্দা। তিনি জন্ম গ্রহণ করেন ৩. ১০. ১৯৯৮। তার বেড়ে ওঠা ও স্কুল জীবন সবকিছুই এখানে। তাঁর পরিবার সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানা যায়নি।

Advertisements

আরও পড়ুন ? UPSC: অটো চালকের ছেলে IAS অফিসার! আনসারের লড়াই অনুপ্রেরণা দেবে আপনাকেও

২০২০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি জুওলজি বিষয়ে স্নাতক হন। স্নাতক হবার পর তিনি লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। ২০২১ শালে প্রথমবার ইউপিএসসি (UPSC) পরীক্ষায় বসেন এবং প্রথম বারের চেষ্টাতেই ৯৪তম স্থান অধিকার করেছেন। তখন তার বয়স মাত্র ২৩ বছর। লিখিত পরীক্ষায় ৬১২ এবং পিটিতে ১৯৫ পেয়ে উক্ত পরীক্ষায় তার মোট প্রাপ্ত নম্বর দাঁড়িয়েছে ৮০৭। এই সাফল্যের পর মাত্র ২৫ বছর বয়সে ২০২৩ সালে ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিস অফিসার হিসাবে তাঁকে পশ্চিমবঙ্গেই নিয়োগ করা হয়।

তমালি সাহার এই সাফল্য শুধু তার বা তার পরিবারের নয়, এটা গোটা পশ্চিমবঙ্গবাসীর জন্য গর্বের বিষয়। সমস্ত শিক্ষার্থী তথা সাধারণ মানুষের কাছে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন তাঁর কর্মকান্ডের মাধ্যমে। তমালি সাহার সাফল্য, কঠোর অধ্যাবসায়, ইচ্ছা শক্তি ও মনের জোর সবকিছুকে কুর্নিশ জানায় এই গোটা রাজ্যবাসী।

Advertisements