নিজস্ব প্রতিবেদন : বিহারের নীতিশ কুমারকে আমরা দেখেছি সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক আঙিনায় পাল্টি মারতে। বাংলার ব্যারাকপুর এর অর্জুন সিংকেও অনেকে একই তালিকায় রাখতে চাইছেন। কেননা অর্জুন সিং (Arjun Singh) ১৯৯৫ সালে জাতীয় কংগ্রেসের হাত ধরে প্রথম কাউন্সিলর হন। পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেন। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়ে সাংসদ হন। তবে বিজেপির টিকিটের সাংসদ হলেও পরবর্তীতে তিনি আবার তৃণমূলে ফিরে আসেন। যদিও তৃণমূলের সঙ্গে তার দ্বিতীয়বারের সংসার বেশি দিন টেকসই হল না। কেন না ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি ফের বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন টিকিট না পেয়ে।
ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং-এর এলাকায় ব্যাপক দাপট রয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গে তার নামে রয়েছে অজস্র মামলা। যে সকল মামলার তালিকা তৈরি করতে গেলে কয়েক পাতা শেষ হয়ে যাবে। অন্ততপক্ষে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় তিনি যে হলফনামা পেশ করেছিলেন সেই হলফনামা থেকেই এমনটা জানা যায়। অন্যদিকে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চমাধ্যমিক পাশ বলেও জানা গিয়েছে ওই হলফনামা থেকেই। এখন প্রশ্ন হল তিনি কত টাকার মালিক (Arjun Singh’s Property)?
২০১৯ সালের পর তিনি কত টাকার সম্পত্তি বাড়িয়েছেন বা কমিয়েছেন তা সম্পর্কে স্পষ্টভাবে কিছু জানার না গেলেও পাঁচ বছর আগে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় তার হাতে নগদ ছিল ১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৮৮০ টাকা। অন্যদিকে তার স্ত্রী ঊষা দেবী সিং-র কাছে নগদ ছিল ১৫ হাজার টাকা। বাকি অস্থাবর সম্পত্তির দিকে নজর রাখলে দেখা যাবে, অধিকাংশ সম্পত্তি রয়েছে অর্জুন সিংয়ের নামে।
আরও পড়ুন ? কাউন্সিলর থেকে সাংসদ, ‘ফুলে’ ‘ফুলে’ যেভাবে দাপট চালালেন অর্জুন সিং
গত লোকসভা নির্বাচনের সময় অর্জুন সিং এর ইউকো ব্যাংকে ছিল ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার ফিক্সড ডিপোজিট। একইভাবে ব্যাঙ্কের বিভিন্ন আমানতের ক্ষেত্রে ইউকো ব্যাংকে ছিল ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা, ইন্ডাসিন্ড ব্যাংকে ছিল ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৯৯২.৫০ টাকা, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় ছিল ৫১ হাজার ৯১৮ টাকা, ভাটপাড়া নৈহাটি কো-অপারেটিভ ব্যাংকে ছিল ১ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা। এছাড়াও আরও বিভিন্ন ব্যাংকে তারা আমানতের হিসেবে পাওয়া যায়। তার নামে থাকা মোট সোনার অলংকারের পরিমাণ ৯৩.৫ গ্রাম, যার সেই সময় বাজার মূল্য ছিল ৩ লক্ষ ২৫ হাজার ১৮২ টাকা। তার নামে সেই সময় ব্যক্তিগত লোনের পরিমাণ ছিল ২ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ২৮ লক্ষ ৭৬ হাজার ১৯১.৩৮ টাকা। অন্যদিকে তার স্ত্রীর নামে থাকা মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকা।
অন্যদিকে বসতবাড়ি এবং অন্যান্য জমি জমা মিলিয়ে অর্জুন সিং এর যে পরিমাণ স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে তার ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় বাজার মূল্য ছিল ৫১ লক্ষ টাকা। এছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রে তার ১১ লক্ষ টাকার লোন ছিল বলেই তিনি জানিয়েছিলেন ২০১৯ সালে। বর্তমানে অর্থাৎ পাঁচ বছর পর সাংসদ অর্জুন সিংয়ের সম্পত্তির পরিমাণ কোন জায়গায় দাঁড়িয়েছে, কমেছে নাকি বেড়েছে তা আগামী দিন কয়েকের মধ্যেই জানা যাবে যদি তিনি ফের প্রার্থী হন। কেননা তাহলে তাকে আবার নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী হলফনামা জমা করতে হবে।