নিজস্ব প্রতিবেদন : গ্রীষ্ম হোক অথবা অন্য কোন মরশুম, মশার উপদ্রব থেকে এখন রক্ষা পাওয়া যায় না বললেই চলে। আর এই মশার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য রাতে ঘুমানোর সময় মশারি খাটানো জরুরী। কিন্তু আবার মশারি খাটালে ফ্যানের বাতাস সেইভাবে ঢোকে না। যে কারণে গরমে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। তবে এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে এবার বাজারে এলো ম্যাজিক মশারি (Magic Moshari)।
বাজারে যে ম্যাজিক মশারি আসার কথা বলা হচ্ছে তার দাম যে বিশাল কিছু তাও নয়। তার দাম মাত্র ৩৫০ টাকা। এই ম্যাজিক মশারি খাটালে একদিকে যেমন মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে ঠিক সেই রকমই আবার হু হু করে বাতাস ঢুকবে। তবে এই ম্যাজিক মশারি কিন্তু সচরাচর সব জায়গায় পাওয়া যায় না। কেননা এই ম্যাজিক মশারি বাংলাদেশ থেকে ভারতের বাজারে আসছে।
সম্প্রতি ইংরেজবাজার শহরে ইন্দো-বাংলাদেশ মৈত্রী মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানেই এমন ম্যাজিক মশারি হু হু করে বিক্রি হতে দেখা যায়। এমনকি মালদার আনাচে-কানাচে নতুন ধরনের এই ম্যাজিক মশারির খবর ছড়িয়ে পড়তেই মেলায় শুধু ওই ম্যাজিক মশারি বিক্রির দোকানের খোঁজ নিতে শুরু করেন আগত মানুষেরা। মাত্র ৩৫০ টাকায় শতাধিক ক্রেতাদের সেই মশারি কিনে বাড়ি নিয়ে যেতে দেখা যায়।
বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে এমন ম্যাজিক মশারি এনে মালদায় আয়োজিত মৈত্রী মেলায় বিক্রি করছিলেন তসলিমা খাতুন। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই হস্তশিল্পের কাজে যুক্ত। হস্তশিল্পের কাজ নিয়ে তিনি বসেছিলেন মৈত্রী মেলায়। আসলে মৈত্রী মেলা মূলত মহিলাদের জন্যই আয়োজিত হয়ে থাকে এবং সেখানে বিভিন্ন মহিলাদের হাতে তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করা হয়।
ম্যাজিক মশারিতে কিভাবে এমন ম্যাজিক দেখাচ্ছে? আসলে এই মশারি অত্যন্ত পাতলা এবং সুক্ষ ছিদ্র বিশিষ্ট। যে কারণে মশা এবং অন্যান্য পোকামাকড়ের প্রবেশ করা একপ্রকার অসাধ্য সাধন। অন্যদিকে পাতলা হওয়ার কারণে বাতাস ঢোকার ক্ষেত্রেও তা কোনরকম বাধা সৃষ্টি করে না। মালদায় আয়োজিত মৈত্রী মেলায় এই ধরনের মশারির ব্যাপক চাহিদা তৈরি হলেও অন্যান্য বিভিন্ন বাজারেও এমন মশারি পাওয়া যায়।