নিজস্ব প্রতিবেদন : বছরের প্রায় ৭০০ কোটি মানুষ ভারতীয় রেলের (Indian Railways) ট্রেন পরিষেবার উপর নির্ভরশীল। যদি প্রতিদিনের হিসেব করা যায় তাহলে সংখ্যাটা দাঁড়াবে প্রায় ২ কোটি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এখন রেল পরিষেবা পৌঁছে যাওয়ার কারণে যাত্রী সংখ্যা একলাফে কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। আবার যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বেড়েছে টিকিটের আকাল।
এখন বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়, কোন জায়গায় সফরের জন্য আগাম টিকিট বুকিং করলেও কনফার্ম টিকিট পাওয়া যায় না। কনফার্ম টিকিটের জন্য অপেক্ষা করতে হয় অর্থাৎ ওয়েটিং লিস্টে থাকতে হয়। তবে রেলের তরফ থেকে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে তাতে আগামী দিনে ওয়েটিং লিস্ট কি জিনিস তা ভুলে যাবেন ভারতীয়রা।
কেননা ভারতীয় রেলের তরফ থেকে ওয়েটিং লিস্ট তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে বলেই জানা যাচ্ছে। তবে ওয়েটিং লিস্ট বন্ধ করে দেওয়ার যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে তাতে যাত্রীদের কোন অসুবিধা হবে না, বরং অনেক সুবিধা বাড়বে। আর এই বদল আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই ভারতীয়রা দেখতে পাবেন বলেই আশা করা হচ্ছে। রেলের তরফ থেকে এমন বদল আনার জন্য এক লক্ষ কোটি টাকা বাজেট করা হয়েছে।
রেলের তরফ থেকে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য অন্ততপক্ষে তিন হাজার ট্রেন চালাতে হবে। রেল পরিকল্পনা অনুযায়ী সেই পথে এগোচ্ছে বলে সূত্রের খবর। এছাড়াও পুরাতন সাত থেকে আট হাজার ট্রেন পাল্টে ফেলা হবে বলেও জানা যাচ্ছে। ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং পুরাতন ট্রেন পাল্টে নতুন ট্রেন চালানোর পরিকল্পনার পাশাপাশি ট্রেনের গতিবেগ বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে। এক্ষেত্রে ট্রেনের গড় গতিবেগ ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার করা হবে।
ভারতীয় রেলের তরফ থেকে এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য এক হাজারটি এমন ট্রেন চালানো হবে যেগুলি ঘন্টায় ২৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটতে সক্ষম। এছাড়াও বুলেট ট্রেন সহ অন্যান্য যে সকল নতুন ট্রেন রয়েছে যেমন অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ইত্যাদির সংখ্যাও ধীরে ধীরে অনেক বাড়ানো হবে। আর এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই টিকিটের ক্রাইসিসের জন্য যে ওয়েটিং লিস্ট থাকে তা আর আগামী দিনে থাকবে না বলেই আশা করা হচ্ছে।