Two rockets will be launched in two days to prepare for Chandrayaan-4: চন্দ্রযান-৩ কে চাঁদের মাটিতে সফল ভাবে অবতরণ করিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল ইসরো তথা ভারত। তার প্রধান কারণ ছিল, চাঁদের দক্ষিন মেরুতে সফল ভাবে সফট ল্যান্ডিং করতে পারা প্রথম দেশ ছিল ভারত। এবার সেই মিশনের সাফল্যকে পাথেয় করে আবারো চাঁদের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হতে চায় ইসরো। তবে এবারের উদ্দেশ্য আরো বৃহৎ। চাঁদের বুকে মানুষ পাঠাতে চায় ভারত। তবে তার জন্য চাই আরো গবেষণা, আরো ভালো ভাবে চাঁদকে জানা। সেই জানার উদ্দেশ্য নিয়েই ইসরো ঠিক করেছে তাদের পরবর্তী মিশন, মিশন চন্দ্রযান-৪ (Chandrayaan-4)।
ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) তার পরবর্তী চন্দ্র মিশন, চন্দ্রযান-৪ (Chandrayaan-4) শুরু করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে, যার প্রধান লক্ষ্য হল – চাঁদের শিলা এবং মাটি (রেগোলিথ) পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা। এই মিশনে দুটি পৃথক রকেট-হেভি-লিফটার LVM-3 এবং ISRO-এর নির্ভরযোগ্য ওয়ার্কহরস PSLV – একই চন্দ্র মিশনের জন্য স্বতন্ত্র পেলোড বহন করার জন্য ব্যবসার করা হবে।
মিশনের লক্ষ্য হল চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা এবং নমুনাগুলিকে বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য নিরাপদে পৃথিবীতে ফেরত দেওয়া। জাতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান সিম্পোজিয়ামে ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমানাথের সাম্প্রতিক উপস্থাপনা অনুসারে, চন্দ্রযান-৪ (Chandrayaan-4) এ পাঁচটি মহাকাশযান মডিউল থাকবে:
- প্রোপালশন মডিউল (PM):- চন্দ্র কক্ষপথে মহাকাশযানকে গাইড করবে
- ডিসেন্ডার মডিউল (DM):- চন্দ্র অবতরণ করতে সহায়তা করবে
- অ্যাসেন্ডার মডিউল (এএম):- চন্দ্রের নমুনা সংগ্রহ করবে এবং কক্ষপথে উঠবে
- ট্রান্সফার মডিউল (TM):- নমুনা সংগ্রহ করে আরোহীর সাথে পৃথিবীর কক্ষপথে ফিরে আসবে
- রি-এন্ট্রি মডিউল (RM):- চন্দ্রের নমুনা নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করবে
এই বিস্তৃত সেটআপটি চন্দ্রযান-৪ (Chandrayaan-4) কে আগের মিশন থেকে আলাদা করে, যেটিতে ২-৩টি মডিউল জড়িত ছিল। মিশনের প্রাথমিক লক্ষ্য চন্দ্রের নমুনা সংগ্রহ করা, বৈজ্ঞানিক গবেষণায় মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি রাখা। এর আগে, ISRO-এর স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের (SAC) ডাঃ নীলেশ দেশাই ইন্ডিয়া টুডেকে জানিয়েছিলেন যে, চন্দ্রযান ৪, যা LUPEX মিশন নামেও পরিচিত, ২০২৮ সালে চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
ভারতীয় মহাকাশ সংস্থারও ২০৪০ সালের মধ্যে ভারতীয় মহাকাশচারীদের চাঁদে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে৷ নীলেশ দেশাই সংস্থাটির দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন, বলেছেন যে, চাঁদে একজন মানুষকে পাঠানোর জন্য তাদের কাছে আগামী ১৫ বছর সময় রয়েছে।