A large area of Bangladesh may sink due to the effect of Global Warming: বর্তমানে বিশ্ব উষ্ণায়ন (Global Warming Effect) হলো গোটা পৃথিবীর কাছে সবথেকে বড় চিন্তার বিষয়। কিভাবে এই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে সেইটাই এখন বিশ্বের কাছে বড় প্রশ্ন। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে গলে যাচ্ছে হিমবাহ এবং এর ফল হতে পারে ভয়াবহ। হিমবাহ গলে যাওয়াতে সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে চলেছে। তার সঙ্গে দেখা দিয়েছে ‘আরবান সাবসিডেন্স’। বাড়তি জলস্তর এর ফলে নষ্ট হয়ে যাবে প্রচুর এলাকা।
আর এই বিপদ ঘনিয়ে আসতে চলেছে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের উপর। হয়তো আগামী এক দশকেই তলিয়ে যাবে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। বাংলাদেশের বেশিরভাগ উপকূলবর্তী এলাকার ওপর এই বিপদ ঘনিয়ে আসতে চলেছে। হয়তো ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আর দেখতে পারবে না এই উপকূলবর্তী এলাকাগুলোকে। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে (Global Warming Effect) এই সমস্যা কমার পরিবর্তে বেড়ে চলেছে দিনকে দিন, এমনটাই আশঙ্কা করছেন ভূতত্ববিদ এবং বিজ্ঞানীরা।
জানলে আশ্চর্য হয়ে যাবেন যে, সমুদ্র ফুলে ফেঁপে উঠে তার জলস্তর ক্রমশ বেড়ে চলেছে এবং বিভিন্ন দেশের উপকূলবর্তী এলাকাগুলো এখন সংকটের মুখে। বাংলাদেশের পরিবেশ এবং আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বিগত ৩০ বছরে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির হার বছরে প্রায় ৩.৮ থেকে ৫.৮ মিলিমিটার। এই বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে (Global Warming Effect) সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ১২ থেকে ১৮ শতাংশ এলাকা জলের তলায় চলে যাবে।
আরও পড়ুন ? Train Ticket of Bangladesh: কপাল পুড়তে চলেছে বাংলাদেশীদের! ট্রেনের ভাড়া বাড়বে এত শতাংশ
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাও তলিয়ে যেতে পারে জলের তলায়। রাজধানী ঢাকা বাদেও জলের তলায় চিরনিদ্রায় চলে যাবে বন্দরনগরী চট্টগ্রামও। বিভিন্ন বিশিষ্ট ভূতত্ত্ববিদরা জানিয়েছে, ‘সমুদ্রের বাড়তি জলস্তর এই সমস্যার জন্য দায়ী। গবেষণাতে ধরা পড়েছে যে, আগামী ১০ বছরেই বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূল অঞ্চল থেকে ৭৩ কিলোমিটার এলাকা তলিয়ে যাবে। আর পরবর্তী ১০ বছরে তলিয়ে যাবে বাংলাদেশের আরো ৬০ কিলোমিটার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলের তলায় চলে যাবে।
বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে (Global Warming Effect) হারে সমুদ্র পৃষ্ঠের জলের উচ্চতা ক্রমশই বেড়ে চলেছে এবং চার মিটার পর্যন্ত উচ্চতার অঞ্চল ডুবে যেতে পারে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে জলের তল ১.৬৪ মিটার পর্যন্ত বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু এর প্রভাব শুধুমাত্রই যে বাংলাদেশে পড়বে তার কিন্তু কোন মানে নেই, এই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাবে না পশ্চিমবঙ্গের দুই ২৪ পরগণা, সুন্দরবন, হাওড়া, হুগলী এবং কলকাতাও। ভারতের প্রায় ৩৫ কোটি মানুষ এই বিপর্যয়ের ফলে ঘরছাড়া হতে পারে। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল ছাড়া অন্য এলাকায় এর প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে ‘ইনভায়রনমেন্টাল রিফিউজি’ হিসাবে পরিণত হবে প্রায় ২২ কোটি মানুষ। এর পাশাপাশি দেখা দেবে পানীয় জলের সংকট এবং আশেপাশের সমস্ত অঞ্চলের জল পরিনত হবে লবণাক্ত জলে।