নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে যে সকল তীর্থক্ষেত্র রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি তীর্থক্ষেত্র হল কালীঘাট মন্দির (Kalighat Temple)। যে মন্দিরে কেবলমাত্র রাজ্যের বাসিন্দারা নন, পাশাপাশি দূর দূরান্তের বিভিন্ন জায়গা থেকেও পুণ্যার্থীরা আসেন মায়ের পুজো দিতে। এই কালীঘাট মন্দির সংস্কারের জন্য গত কয়েক মাস ধরেই কাজ চালানো হচ্ছে।
২০০ বছরের প্রাচীন কালীঘাট মন্দিরের সংস্কারের কাজ চালাচ্ছে রিলায়েন্স গোষ্ঠী। গর্ভগৃহ থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় সংস্কারের কাজ চালানো হচ্ছে এবং ধীরে ধীরে মন্দির নতুন রূপ পেতে শুরু করেছে। নতুন এই সকল রূপের মধ্যেই অন্যতম হলো মন্দিরের তিনটি চূড়া ২৪ ক্যারেটের সোনা দিয়ে মুড়ে ফেলা।
কালীঘাট মন্দির সংস্কারের জন্য ৩৫ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ৫১ সতীপিঠের অন্যতম সতীপিঠ কামাক্ষা মন্দিরের চূড়ার মতোই কালীঘাট মন্দিরের চূড়া সোনায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। কালীঘাট মন্দিরের তিনটি চূড়া সোনায় মুড়ে ফেলার পর এখন সূর্যের আলো পড়তেই তা ঝলমল করে উঠছে। সেই সকল চূড়ার দিকে তাকালে রীতিমতো মন মুগ্ধ হয়ে ওঠে আর মুখ ফেরাতে মন চায় না।
কালীঘাট মন্দিরের যে তিনটি চূড়া রয়েছে সেগুলি আগে ছিল মাটির। এখন সেই সকল চূড়া সোনায় মুড়ে যাওয়ার ফলে তা আলাদা সৌন্দর্য পেতে শুরু করেছে। মন্দিরে যে তিনটি তিন কোনা চূড়া রয়েছে তার মধ্যে মাঝের যে চূড়াটি রয়েছে তাতে একটি পতাকার আকৃতি রয়েছে। আর মন্দিরের চূড়া এইভাবে সোনায় মুড়ে ফেলার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষদের মধ্যে প্রশ্ন, কত সোনা লাগলো মন্দিরের চূড়া সোনায় মুড়ে ফেলতে?
কালীঘাট মন্দিরে যে সংস্কারের কাজ চলছে সেই সংস্কারের কাজের ক্ষেত্রে যাতে মূল কাঠামোই কোন ক্ষতি না হয় তার জন্য আগেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মূল ঐতিহ্যকে বজায় রেখেই চালানো হচ্ছে কাজ। সংস্কারের ক্ষেত্রে বড় অংশের কাজ হয়ে গেলেও এখনো কিছু কাজ বাকি রয়েছে। অন্যদিকে মন্দিরের তিনটি চূড়া সোনায় মুড়ে ফেলার জন্য ৫০ কেজি সোনা লেগেছে বলেই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ। সোনার বাজার দর ধরলে, ৩০ কোটি টাকারও বেশি খরচ করা হয়েছে কেবলমাত্র সোনার পিছনে।