Do you know how many years bank account is closed if not used according to RBI Announcement: প্রায় প্রতিটি প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের একটি করে ব্যাংক একাউন্ট থাকে। এখন অবশ্য অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য স্টুডেন্ট একাউন্টের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এই অ্যাকাউন্টগুলি ব্যবহার করার কিছু নিয়ম রয়েছে নিয়ম না মানলে আপনার ব্যাংক একাউন্টটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে (RBI Announcement)। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার কি কি নিয়মাবলী রয়েছে? এবং কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যদি বন্ধ হয়ে গিয়ে থাকে তা পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করে তোলার জন্য কি পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে? এই সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য রইল আজকের প্রতিবেদনে।
এমন বহু মানুষ আছেন যারা প্রয়োজনের ক্ষেত্রে ব্যাংক একাউন্ট খুলেছেন ঠিকই, কিন্তু তাতে দীর্ঘদিন কোন রকম লেনদেন করেন না আরবিআই এর নতুন নিয়ম অনুযায়ী (RBI Announcement), দীর্ঘ দু’বছর টানা কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহৃত না হলে তাকে ডরমেন্ট একাউন্ট বলে ধরে নেবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। নিজে থেকেই সেই নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টই বন্ধ বা নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে যতক্ষণ না তাকে পুনরায় ব্যাবহারযোগ্য করে তোলা হচ্ছে। ততক্ষণ ওই অ্যাকাউন্টটি থেকে কোন রকম লেনদেন করা যাবে না।
আপনি চাইলেই সেই অ্যাকাউন্ট থেকে কোন অর্থ তুলে নিতে পারবেন না। অথবা সেই অ্যাকাউন্টে নতুন করে কোন অর্থ জমা দিতে পারবেন না তবে, সঞ্চিত অর্থের উপর ব্যাংকের তরফ থেকে দেওয়া সুদ অথবা বিভিন্ন কারণে চার্জ কাটার ক্ষেত্রে এই নিয়ম (RBI Announcement) প্রযোজ্য নয়।
কোন ব্যাংক একাউন্ট ডরমেন্ট একাউন্টে পরিণত হলে, সেই একাউন্ট থেকে কোনরকম আর্থিক লেনদেন, চেক ভাঙ্গানো, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কোনটাই আর করতে পারবেন না গ্রাহক। তাই অ্যাকাউন্টটিকে চালু রাখার জন্য দেড় থেকে দু মাসের মধ্যে অন্তত একবার অ্যাকাউন্টে লেনদেন করার কথা বলা হয় ব্যাংকের তরফ থেকে। এখন যেহেতু অনলাইন ব্যাংকিং এর প্রভাব অত্যন্ত জোরালো হয়ে উঠেছে তাই গ্রাহককে আর ব্যাংকে গিয়ে লেনদেন করতে হয় না। খুব সহজেই ঘরে বসে নিজের হাতে স্মার্ট ফোনকে ব্যবহার করে আপনি লেনদেন করতে পারেন।
ডরমেন্ট একাউন্ট কে আবারও ব্যবহারযোগ্য করে তোলার জন্য সরাসরি ব্যাংকে যোগাযোগ করে নতুন করে কেওয়াইসি ফরম ফিলাপ করে জমা দিতে হবে। তবে ডরমেন্ট হওয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পুনঃব্যবহারযোগ্য করে তোলার ক্ষেত্রে এক একটি ব্যাংকের একেক রকম নিয়ম (RBI Announcement) প্রচলিত রয়েছে। তাই এই বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে সরাসরি নিজের ব্যাংকে যোগাযোগ করাই শ্রেয়।