This is the most notes printing country in the world: কথায় আছে টাকা ধ্যান টাকা জ্ঞান। টাকাই চিন্তামণি। টাকা ছাড়া আমি যেন মনিহারা ফনী। সত্যিই তাই। বর্তমানে টাকা ছাড়া কোনো কিছুই হয় না। যাদের অর্থ আছে তাদের সব আছে। যাদের নেই তো তাদের কিছুই নেই। তবে এই টাকা অর্থাৎ নোট এমনি এমনি আসে না। নোট তৈরি হয় প্রতি দেশেই। নোট তৈরির টাঁকশাল বা ছাপাখানা রয়েছে। যারা তাদের নিজস্ব নোট ছাপায়। কিন্তু জানেন কি পৃথিবীর কোন দেশে সবচেয়ে বেশি নোট ছাপানো (Most Notes Printing Country) হয়? শুধু নিজের দেশের নয় প্রতিবেশী অন্যান্য দেশেরও নোট ছাপায় এই দেশ। কি বলছে আপনার সাধারণ জ্ঞান? গেস করতে পারছেন? যদি গেস করে থাকেন মিলিয়ে দেখে নিন। আর যদি না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই জেনে রাখুন। চাকরির পরীক্ষায় কাজে লাগতে পারে।
ভারত, আমেরিকা, ব্রিটেন, রাশিয়া সব দেশেই রয়েছে ছাপাখানা। প্রতি দেশই নোট ছাপার মেশিনে তাদের দেশীয় নোট ছাপায় (Most Notes Printing Country)। কিন্তু আজকের এই প্রবন্ধে যে দেশের কথা বলা হচ্ছে সেই দেশে নোট ছাপানোটা একটি শিল্পে পরিণত হয়েছে। যেখানে কাজ করে প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি কর্মী। যেখানে অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে রয়েছে নোট ছাপার মেশিন। শুধু নোট ছাপার মেশিন বলা ভুল হবে, মেশিনের পাশাপাশি এই দেশে নোট তৈরির যাবতীয় সামগ্রীয় তৈরি হয়। কোন দেশ জানা আছে?
কি ভাবছেন আমেরিকা? রাশিয়া? ব্রিটেন? আজ্ঞে না, অন্যান্য দিক থেকে এই তিনটি দেশ এগিয়ে থাকলেও নোট ছাপানোর প্রতিযোগিতায় বেশ পিছিয়ে রয়েছে এই তিন দেশ। কোন দেশে সবচেয়ে বেশি নোট ছাপানো হয়? বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নোট ছাপানোর দেশ (Most Notes Printing Country) হলো প্রতিবেশী দেশ চীন। চীন দেশের চায়না ব্যাঙ্কনোট প্রিন্টিং অ্যান্ড মিন্টিং কর্পোরেশন অর্থাৎ, CBPM সংস্থা অন্যান্য দেশের তুলনায় বহু সংখ্যক নোট ছাপায়। পাশাপাশি নোট ছাপানোর মেশিনও রয়েছে প্রচুর। শুধু নিজের দেশের নয়, এর পাশাপাশি নেপাল, শ্রীলঙ্কা, অন্যান্য দেশেরও নোট ছাপা হয় চীনের এই সংস্থা থেকে।
চীনে এই নোট ছাপানোর মেশিন সহ মোট প্রিন্টিংয়ের যাবতীয় সামগ্রী তৈরীর ১০টি বড় বড় কারখানা রয়েছে। গোটা নোট প্রিন্টিংয়ের শিল্প ব্যবস্থা জুড়ে কর্মী রয়েছে ১৮ হাজারেরও বেশি। এতটাই সুরক্ষিত প্রিন্টিং ব্যবস্থা যেখান থেকে মাছির মতো একটা নোটও গলতে পারে না। তবে এই নোট ছাপানোর তালিকায় চীন শীর্ষে থাকলেও তার পাশাপাশি তালিকাভুক্ত রয়েছে জার্মানির গিসেক এবং ডেভিয়েন্ট, ইউএস, ব্রিটেন এবং ভারত। বর্তমানে ভারতের একাধিক জায়গায় নোট তৈরির সামগ্রীর কারখানা তৈরি হয়েছে। আগের থেকে অনেকটাই প্রসারিত হয়েছে। অন্যদিকে ইউএস-এ নোট প্রিন্টিং সংস্থায় কর্মচারী রয়েছে ২০০০। ব্রিটেনে নোট তৈরির কারখানায় কর্মচারী রয়েছে তিন হাজারের একটু বেশি। তবে চীনের কাছাকাছি কোনো দেশ নেই।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালে বিশ্বজগতের অন্যতম দেশ চীনে মুদ্রা ছাপানো শুরু করে চীনের এই মুদ্রণ সংস্থা। তবে পরবর্তীতে ধীরে ধীরে মুদ্রার পাশাপাশি মুদ্রার নোট ছাপানো শুরু করে। যা থেকে এই সংস্থা এক বিরাট সংস্থায় পরিণত হয়। ভারতের অন্যান্য প্রতিবেশী দেশ নেপাল, শ্রীলংকা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান চীনে নোট ছাপাতে দেয়। অপরদিকে ব্রাজিল, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, পোল্যান্ড এমনকি আফ্রিকা নিজস্ব দেশে মুদ্রা না ছাপিয়ে চীনে মুদ্রা ছাপাতে দেয়। ব্যতিক্রম শুধু পাকিস্তান এবং মালদ্বীপ। তবে পাকিস্তান এখানে মুদ্রা না ছাপালেও নোট ছাপাতে দেয়। তবে নিজের দেশে না ছাপিয়ে অন্য দেশে নোট ছাপাতে দেওয়ার কারণ হলো মূল্য সাশ্রয়। চীনে নোট ছাপালে অনেকটাই খরচ কমে।