The World Bank has made great predictions about the increase in the GDP rate of the Indian economy: নতুন অর্থবর্ষ পড়তেই সভায় বসলো RBI-এর মুদ্রানীতি কমিটি। চলতি বছরে ভারতীয় অর্থনীতি বাজার কেমন যাবে সেই নিয়ে চলছে নানান আলোচনা। চলতি সপ্তাহেই শেষ হবে মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠক। তারপরেই প্রকাশ্যে আসবে জিডিপি বৃদ্ধির হার। তবে তার আগেই জিডিপি (GDP Rate) বৃদ্ধি নিয়ে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। আন্তর্জাতিক সংস্থা তরফে জানা গিয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে ৭.৫%।
তবে শুধু ভারত নয়, আন্তর্জাতিক সংস্থা সারা দক্ষিণ এশিয়ার Gross Domestic Product বৃদ্ধির হারের সম্ভাবনা প্রকাশ করেছে। চলতি অর্থবর্ষে দক্ষিণ এশিয়ার গোটা অঞ্চল জুড়ে জিডিপি (GDP Rate) বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে ৬ শতাংশ হারে। যা সেই এলাকার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে। ভারতের পাশাপাশি অর্থনীতি চাঙ্গা হবে শ্রীলংকারও। তবে অপরদিকে অর্থনীতির বাজারে ভাটা পড়বে পাকিস্তানের।
জিডিপি বৃদ্ধির ফলে চাপ সৃষ্টি হবে সাধারণ মানুষের উপর। ২০২৪ সালে ভারতীয় বাজারে জিনিসপত্রের দাম হবে আকাশ ছোঁয়া। বড় বড় কোম্পানিগুলিতে দেখা যাবে বুলিশ ট্রেন্ড। যার প্রভাব প্রভাবিত হবে জিডিপির উপর। গত বছরের জিডিপি বৃদ্ধির হারের তুলনায় চলতি বছরে জিডিপি বৃদ্ধির হার কিছুটা কম হবে। তবে শুধু ২০২৪-২৫ নয়, বিশ্ব ব্যাংক ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জিডিপি বৃদ্ধির হারের সম্ভাবনাও প্রকাশ করেছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের দাবি ওই সময় আর্থিক বৃদ্ধি হতে পারে ৬.৬% হারে।
তবে শুধু জিডিপি (GDP Rate) নয়, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মুদ্রানীতি কমিটির এই বৈঠকে মুদ্রাস্ফীতি নিয়েও একটি বিরাট সিদ্ধান্ত গ্রহণ হতে পারে। কারণ বেশ কিছু মাস ধরে RBI-এর গভর্নর মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণ করাকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলেছেন। ফলে সেই দিক থেকে স্বস্তি খবর দিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। কারন চলতি বছরে মুদ্রাস্ফীতির হার কমার সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে সরকারি ঋণের পরিমাণের বোঝা অনেকটাই কমতে পারে।
আবার অপরদিকে গত ২রা এপ্রিল বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। যা পূর্বের রেকর্ডকে ভেঙে দিয়েছে। RBI জানিয়েছে, গত ২২শে মার্চ বিদেশি মুদ্রার ভান্ডারে ১৪০ মিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পায়। যার মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ৬৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা পূর্বের সমস্ত রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে।