HS Pass Number: বদলে গেল নিয়ম, উচ্চমাধ্যমিকের সেমিস্টারের কততে পাশ জানালো সংসদ

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : এখন রাজ্যের বাসিন্দাদের মুখে মুখে কেবল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পদ্ধতি, উচ্চমাধ্যমিক সিলেবাস ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা শোনা যাচ্ছে। আসলে উচ্চমাধ্যমিক নিয়ে এত আলোচনার মূল কারণ হলো, চলতি বছর থেকেই উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা পদ্ধতি, সিলেবাস, বই সব কিছুতেই আসছে পরিবর্তন। এই পরিবর্তন আগামী দিনে উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের পড়াশুনোর পদ্ধতিকে পুরোপুরিভাবে বদলে দেবে।

চলতি বছর যারা মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হবে তারা নতুন সিলেবাস অনুযায়ী পড়াশোনা করা শুরু করবে। তারাই হতে চলেছে নতুন সিলেবাসের প্রথম পড়ুয়া। নতুন সিলেবাস অনুযায়ী এবার সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। আর এই সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার ফলে প্রত্যেকের মধ্যেই প্রশ্ন, পাশ কত নম্বরে (HS Pass Number)?

পরীক্ষায় পাশ নম্বর নিয়ে সংসদকে একাধিকবার নিজেদের সিদ্ধান্ত বদল করতে হয়েছে। প্রথমদিকে বলা হয়েছিল, যদি কোন পরীক্ষার্থী প্রথম ও তৃতীয় সেমিস্টারে শূন্য নম্বর পায় তাহলেও সে দ্বিতীয় এবং চতুর্থ সেমিস্টারে বসতে পারবে। কিন্তু এই পদ্ধতিতে পরীক্ষার্থীদের পড়াশুনোর মানোন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটবে এমনটাই মনে করতে দেখা যায় বিশিষ্টজনেদের। তারপর তাদের তরফ থেকে সংসদে আবেদন জানানো হয় এমন পদ্ধতির বদল আনায়। এরপরই সংসদ পদ্ধতিতে বদল এনে প্রত্যেক সেমিস্টারে পাশ করতে হবে এমনটাই জানায়।

আরও পড়ুন 👉 Bangla Divas: রাজ্যজুড়ে পালিত হবে বাংলা দিবস, কবে সেই দিন! তাহলে কি ফের মিলবে ছুটি?

এর পাশাপাশি এবার সংসদের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হলো, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর ক্ষেত্রে যে সকল সেমিস্টার নেওয়া হবে সেই সমস্ত সেমিস্টারে প্রতিটি বিষয়ে অন্ততপক্ষে ৩০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে পাশ করার জন্য। আর এই ঘোষণার ফলে কোন সেমিস্টারে প্রতিটি বিষয়ে যদি কোন পরীক্ষার্থী ৩০ শতাংশ নম্বর না পায় তাহলে তাকে উত্তীর্ণ ধরা যাবে না। এক্ষেত্রে যদি ৭০ নম্বরে পরীক্ষা হয় তাহলে অন্ততপক্ষে ২১ এবং ৮০ নম্বরের পরীক্ষা হলে অন্ততপক্ষে ২৪ নম্বর পেতেই হবে।

এর পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, থিওরি এবং প্র্যাকটিক্যাল দুই বিষয়ের ক্ষেত্রেই আলাদা আলাদা ভাবে পাশ করতে হবে পরীক্ষার্থীকে। দুই ক্ষেত্রেই ৩০% করে পেতে হবে তবেই ওই পরীক্ষার থেকে উত্তীর্ণ হিসেবে ধরা হবে। সংসদের তরফ থেকে নতুন ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষক মহলের বড় অংশ। কেননা এর ফলে মানোন্নয়নের যে অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছিল তা আর থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।