নিজস্ব প্রতিবেদন : বিদ্যুৎ ছাড়া এখন এক মুহূর্ত চলে না। টিভি, ফ্রিজ, এসি থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুই চলে থাকে বিদ্যুৎ-এ। আবার গ্রীষ্মকাল এলেই বিদ্যুৎ নিয়ে শুরু হয় চরম টানাটানি। আর এই টানাটানির কারণেই হয়ে থাকে লোডশেডিং বা পাওয়ার কাট (Power Cut)। মূলত বিদ্যুতের সংকট মোকাবিলার জন্যই পাওয়ার কাট করা হয়। আর এই পাওয়ার কাটে গ্রীষ্মে নাজেহাল অবস্থা হয়ে দাঁড়ায় সাধারণ মানুষদের।
গ্রীষ্মকালে বাড়িতে বাড়িতে ফ্যান, এসি ইত্যাদির মত মত ইলেকট্রিক সরঞ্জামের ব্যবহার কয়েকগুণ বেড়ে যায়। কেননা তীব্র গরমে এই সকল সরঞ্জাম ছাড়া থাকা মুশকিল হয়ে পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই গ্রীষ্মকালে পাওয়ার কাট হলে ফ্যান, এসি পাখা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নাজেহাল হতে হয় আমজনতাকে। আর এই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করতেই এবার বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র।
পাওয়ার কাট বা লোডশেডিংয়ের সমস্যা মেটানো যেতে পারে একমাত্র পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপাদন। কিন্তু দেশে যে সকল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে সেই সকল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানোর জন্য যেহেতু কয়লার দরকার তাই বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের এই বিকল্প ব্যবস্থার ফলে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি যেমন স্বাভাবিক নিয়মে চলে সেই রকম স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে, অথচ এবার গ্রীষ্মকালে লোডশেডিং অতীত হয়ে যাবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
কেননা কেন্দ্রের তরফ থেকে এবার গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হলো। গত শনিবার গ্রীষ্মকালীন বিদ্যুৎ সংকটের কথা মাথায় রেখে তাদের পুরো দমে কাজ চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী দেশের সমস্ত গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিকে ১ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত টানা বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চালাতে হবে। এর পাশাপাশি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ঐ সকল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলির যতটা বিদ্যুৎ উৎপাদন করার ক্ষমতা রয়েছে পুরোটাই ব্যবহার করতে হবে।
ভারতে যে সকল গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলি রয়েছে সেগুলি বাণিজ্যিক কারণে একাংশের কাজ বন্ধ রাখে সংস্থাগুলি। কিন্তু কেন্দ্র এবার আগামী দিনের ব্যাপক বিদ্যুৎ চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিদ্যুৎ আইন ২০০৩ এর ১১ নম্বর ধারা অনুযায়ী টানা দু’মাস পুরোদমে কাজ চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। গত বছর যেভাবে দেশজুড়ে ব্যাপক বিদ্যুৎ সংকট দেখা গিয়েছিল সেই জায়গায় কেন্দ্র সরকার এবার এক বিন্দু ঝুঁকি নিতে নারাজ।