নিজস্ব প্রতিবেদন : দেখতে দেখতে চলে আসছে ১৯ এপ্রিল। চলতি বছর ১৯ এপ্রিল একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। কেননা ঐদিন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণ রয়েছে। এই প্রথম দফা ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়েই শুরু হয়ে যাবে এবারের লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। তবে লোকসভা নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে একাধিক প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষদের মধ্যে।
চলতি বছর নির্বাচন কমিশন ৭ দফায় দেশ জুড়ে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু রাজ্যে এক অথবা দুই দফায় ভোট গ্রহণ হলেও বড় বড় রাজ্যগুলিতে ৭ দফায় ভোট গ্রহণ হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় যে প্রশ্ন সেই প্রশ্ন হল, ভোটের দিন সরকারি অথবা বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা কি ছুটি (Election Holiday) পাবেন? যদি বা ওই দিন কেউ উপস্থিত না হন তাহলে কি তার বেতন কাটা যাবে?
এমন একাধিক প্রশ্ন সম্প্রতি সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারীদের মধ্যে বিভ্রান্ত তৈরি করার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন কর্মচারীদের ছুটি নিয়ে ঘোষণা করতে বাধ্য হলো। যে ঘোষণায় দিল্লির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কৃষ্ণমূর্তি জানিয়েছেন, যেদিন যে কেন্দ্রে ভোট থাকবে সেই দিন সেই কেন্দ্রে ছুটি থাকবে। সমস্ত বেসরকারি কর্মচারীরা এই ছুটি পাবেন। আবার ভোটের দিন ছুটি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থা তাদের কোনরকম বেতন কাটতে পারবে না। অর্থাৎ ওই দিনটিতে সবেতন ছুটি মিলবে বেসরকারি কর্মচারীদের।
সরকারি কর্মচারীদের অধিকাংশ কর্মচারীরাই ভোটের কাজে নিযুক্ত থাকার ফলে তারা হয়তো সেদিন ছুটি কাটাতে পারবেন না। তবে নিজস্ব দপ্তরে কাজ না করেও ওইদিন তারা বেতন পাবেন। এর পাশাপাশি তারা ভোটের কাজে নিযুক্ত হওয়ার দরুণও যে প্রাপ্য তাও পাবেন। সুতরাং এই বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে যে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেই বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির অবসান ঘটালো নির্বাচন কমিশন।
এর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যদি কোন সংস্থা ভোটের দিন নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর্মীদের সবেতন ছুটি না দেয় তাহলে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে মোটা টাকা জরিমানা করা হবে। ১৯৫১ সালের রিপ্রেজেন্টশন অফ দ্যা পিপলস অ্যাক্টের ১৩৫বি ধারা অনুযায়ী এই ছুটি কর্মীদের প্রাপ্য। সরকারি, বেসরকারি, আধা সরকারি, সমস্ত প্রকার অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মচারীদের ওই ছুটি দেওয়া বাধ্যতামূলক। এমনকি যদি কোন ভোটার কর্মক্ষেত্রে নিজের কেন্দ্র থেকে দূরের কোথাও কাজ করেন তাহলেও তাকে ছুটি দিতে হবে। এই নিয়ম অমান্য করলে ৫০০ টাকা করে জরিমানা ধার্য করা হয়।