নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন দিন চাহিদা বৃদ্ধির দিকে তাকিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে হরিণঘাটায় বাংলা ডেয়ারির নতুন প্ল্যান্ট তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যে ডেয়ারির মাধ্যমে একদিকে যেমন কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে, ঠিক সেই রকমই দুধ ব্যবসার সঙ্গে যারা যুক্ত তারা সহজেই উৎপাদিত দুধ দিতে পারবেন ওই সকল প্ল্যান্টে। আবার এই বাংলা ডেয়ারির নতুন প্ল্যান্ট তৈরি করার সুখবরের মধ্যেই আরও একটি সুখবর এলো মাদার ডেয়ারি (Mother Dairy) থেকে।
পশ্চিমবঙ্গের মাদার ডেয়ারির বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই একটি নতুন প্ল্যান্ট (Mother Dairy Plant in WB) তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে মাদার ডেয়ারি ফ্রুট এন্ড ভেজিটেবিল প্রাইভেট লিমিটেডের তরফ থেকে। এই প্ল্যান্ট তৈরি করার জন্য ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে বলেই জানা যাচ্ছে।
মাদার ডেয়ারির নতুন প্ল্যান্ট তৈরি করার জন্য ইতিমধ্যেই বোর্ডের তরফ থেকে অনুমোদন দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে সংস্থার এক শীর্ষ কর্তার তরফ থেকে। নতুন প্ল্যান্ট তৈরি করা হলে একদিকে যেমন সংস্থার ব্যবসা অনেক বৃদ্ধি পাবে ঠিক সেইরকমই আবার বাংলার মানুষদের কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে। শুধু বাংলা নয় এর পাশাপাশি নতুন এই প্ল্যান্টের মাধ্যমে চাহিদা পূরণ হবে উত্তর-পূর্ব ভারতের অনেক জায়গার।
আরও পড়ুন ? Banglar Dairy’s New Unit: দুধ শিল্পে জোয়ার! রাজ্যের এই জায়গায় নতুন ইউনিট বাংলার ডেয়ারির
পশ্চিমবঙ্গের মাদার ডেয়ারির নতুন প্ল্যান্ট তৈরি হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাংলার মানুষদের মধ্যে আলাদা উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কোথায় এই প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে তা নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। যদিও সংস্থার তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত জানানো হয়নি কোথায় তারা নতুন প্ল্যান্ট তৈরি করতে চলেছেন। প্ল্যান্ট যেখানেই তৈরি হোক না কেন বাংলার বুকে তা তৈরি হলেই যে এলাকায় তৈরি হবে সেই এলাকার কপাল খুলে যাবে। এছাড়াও সবরকম সুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
মাদার ডেয়ারির নতুন প্ল্যান্ট আগামী তিন বছরের মধ্যে বাংলায় তৈরি হয়ে যাবে বলেই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। শুধু বাংলা নয়, এর পাশাপাশি এই তিন বছরের মধ্যেই মাদার ডেয়ারি গোটা দেশে মোট পাঁচটি প্ল্যান্ট তৈরি করবে বলে জানা যাচ্ছে। যার মধ্যে তিনটি তৈরি হবে বাংলা, দিল্লি ও নাগপুরে। আর এই সমস্ত প্ল্যান্টের জন্য সংস্থার তরফ থেকে প্রায় ২০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।