Maldivian President Mohammad Muizzu has been accused of massive financial corruption: ভোটের আগে দুর্নীতির আভাস পাওয়া গেল মলদ্বীপে। অবশেষে পর্দাফাঁস হলো প্রেসিডেন্টের। মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর (Mohammad Muizzu Corruption) বিরুদ্ধে আনা হলো বিরাট দুর্নীতির অভিযোগে। একটি রিপোর্টের মাধ্যমে এটি স্পষ্টভাবে প্রকাশ্যে এসেছে। এরফলে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টের দুর্নীতির সমস্ত কীর্তি ফাঁস হয়ে গিয়েছে।
দীর্ঘ বছর ধরেই তিনি এই দুর্নীতির সঙ্গে গভীর ভাবে জড়িয়ে রয়েছেন। ২০১৮ সাল থেকেই মুইজ্জুর (Mohammad Muizzu Corruption) বিরুদ্ধে এই দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। যখনই এই অভিযোগ সামনে এসেছে সেই সময় মলদ্বীপের বিরোধী নেতারা মুইজ্জুর বিরুদ্ধে তদন্ত এবং তাঁর ইমপিচমেন্টের দাবি করেছে। কিন্তু সেই সমস্ত অভিযোগ একেবারেই অস্বীকার করেছেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট।
মলদ্বীপে সংসদীয় নির্বাচন হবে আগামী রোববার। মলদ্বীপিয়ান ডেমোক্রাটিক পার্টি ও মুইজ্জুর (Mohammad Muizzu Corruption) পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে খুবই কঠিন ভাবে। সোমবার একটি এক্স হ্যান্ডেল থেকে এই গোয়েন্দা রিপোর্ট পোস্ট করা হয়। এই রিপোর্টে মলদ্বীপের মনিটারি অথারিটি ও মলদ্বীপ পুলিশ সার্ভিস দাবি করেছে যে দুর্নীতিতে মলদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু যুক্ত ছিল।
আরও পড়ুন ? Lakshadweep: মালদ্বীপ অতীত! এবার লাক্ষাদ্বীপ নিয়ে নতুন সুসংবাদ, জানলে গর্বে বুক ভরে যাবে
২০১৮ সালে পেশ হওয়া এই গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু (Mohammad Muizzu Corruption) নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচুর বেআইনি আর্থিক লেনদেন করেছেন। তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ১০টি আর্থিক তছরুপের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর থেকে স্পষ্ট ভাবে জানা যায় যে, রাজনৈতিকভাবে পরিচিত এবং সরকারি তহবিলের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা পর্যন্ত এই তছরুপের সঙ্গে জড়িত।
মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টের সম্পর্কে যখনই এই দুর্নীতির সামনে আসে তখনই বিরোধী দল এমডিপি ও পিএনএফ মুইজ্জুর বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য দাবি জানায়। প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডঃ মহম্মদ জামিল আহমেদ যে গোয়েন্দা রিপোর্টের মাধ্যমে তার দুর্নীতি ফাঁস হয়ে গেছিল, তার সাহায্য নিয়ে প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর ইমপিচমেন্ট বা পদচ্যুতির দাবিও জানান। নিজের বিরুদ্ধে আসা এইসব অভিযোগকে অবশ্য তিনি পাত্তা দেননি। তার মতে, বিরোধীদের সব রকম প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হবে। কারণ, তার সম্পর্কে কোনো রকম অনৈতিক কাজের প্রমাণ পাওয়া যাবে না। এর আগে মেয়র ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ও এই ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছিল।