Maldives India Relation: আরও তলানিতে ভারত-মালদ্বীপ ঠেকবে সম্পর্ক! বড় জয় পেয়ে গেলেন মইজ্জু

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত কয়েক মাস ধরেই মালদ্বীপের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক (Maldives India Relation) তলানিতে দেখতে শুরু করেছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হন মইজ্জু। তিনি প্রেসিডেন্ট হতেই তার চীন প্রীতি এবং ভারত বিরোধিতা সামনে আসতে শুরু করে। মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা হাটানো থেকে শুরু করে নানান পদক্ষেপ তিনি নেন।

আবার এসবের মধ্যেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে কুমন্তব্য ভারত ও মালদ্বীপের সম্পর্ক আরও তলানিতে পৌঁছে দেয়। তবে ভারত ও মালদ্বীপের সম্পর্ক তলানিতে যাওয়ার ফলে লোকসান হয়েছে মালদ্বীপেরই। কেননা তাদের দেশের পর্যটন শিল্প অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে আর সেই ধাক্কা সামাল দিতে তাদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।

মালদ্বীপের এমন পরিস্থিতিতেই ছিল পার্লামেন্ট নির্বাচন। মইজ্জু গত সেপ্টেম্বর মাসে জয়লাভ করে প্রেসিডেন্ট হলেও তার দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের বদলে মালদ্বীপের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখেছিল মালডিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি। এর ফলে পার্লামেন্টে বারবার বাধার মুখোমুখি হতে হচ্ছিল মইজ্জু সরকারকে। কিন্তু রবিবার পার্লামেন্ট নির্বাচনে মইজ্জুর দল ব্যাপকভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। আর এই জয়লাভের ফলে এই স্পষ্ট মালদ্বীপের জনগণ ভারতের বদলে চীন প্রীতিকেই বেশি সম্মতি দিয়েছেন।

আরও পড়ুন 👉 Mohammad Muizzu Corruption: সেয়ানা মুইজ্জু দুর্নীতির খিলাড়ি! পর্দাফাঁস হতেই ফাঁদে পড়লেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট

রবিবার মালদ্বীপের ৯৩টি আসনের যে ভোট গ্রহণ হয় তার ফলাফল হিসাবে ভারতীয় সময় রাত্রি ১১টা পর্যন্ত যা জানা যায় তাতে ৮৬ এর মধ্যে ৬৬ টি আসনেই জয়লাভ করেছে মইজ্জুর দল। স্বাভাবিকভাবেই এই সংখ্যা ম্যাজিক সংখ্যার তুলনায় অনেকটাই বেশি। মালদ্বীপের এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসাবেই ধরা হচ্ছিল। কেননা এই নির্বাচনের মধ্য দিয়েই মালদ্বীপের জনগণ কি চাইছেন তার দিকে তাকিয়ে ছিল বিশ্বের বহু দেশ।

মালদ্বীপে মইজ্জুর দল পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করার ফলে ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরও তলানিতে ঠেকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কেননা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মইজ্জু প্রথম থেকেই ভারত বিরোধী মনোভাব দেখিয়েছে আর চীনকে কাছে টেনে নিয়েছে। এক্ষেত্রে আগে যে সকল সিদ্ধান্ত তারা পার্লামেন্টে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা প্রাপ্ত হয়েছিল তা আর হবে না। স্বাভাবিকভাবেই চীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়াতে গিয়ে তাদের ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হবে।