নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের প্রত্যেক নাগরিকের কষ্টার্জিত টাকা যে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুরক্ষিত রাখার জন্য কড়া নজরদারি চালায় দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। দিন কয়েক আগেই আমরা দেখেছিলাম পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক নিয়ম না মানার জন্য ব্যাঙ্কিং লাইসেন্স হারায়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। তবে এই ধরনের ঘটনা কেবলমাত্র ট্রেলার।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া যেভাবে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে তাতে সাধারণ মানুষদের টাকা যেকোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুরক্ষিত থাকবে এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এবার ঠিক সেই রকমই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যাঙ্ক কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের (Kotak Mahindra Bank) উপর বিধিনিষেধ জারি করা হলো।
নিয়ম না মানলে কাউকেই রেয়াত করা হবে না, এমনটা আগেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে বারবার জানানো হয়েছে। আর সেটাই তাদের বারবার প্রমাণ করতেও দেখা যাচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে নিয়ম অমান্য দেখলেই যেকোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপর কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। ঠিক সেই রকমই কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের উপর একটি ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করা হলো। এই বিধি-নিষেধের ফলে গ্রাহকদের কিছু সুবিধা কমে গেলেও তেমন প্রভাব পড়বে না, তবে এই বিধিনিষেধ ব্যাঙ্কের ওপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে।
২৪ এপ্রিল বুধবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের উপর যে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে সেই বিধিনিষেধ অনুযায়ী, তারা আর অনলাইনে অথবা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নতুন গ্রাহক নিতে পারবে না। অর্থাৎ এই বিধিনিষেধের ফলে কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক আর অনলাইনে কোন গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে না। 1949-র ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন আইনের 35A ধারা অনুযায়ী ওই ব্যাংকের উপর এমন বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। এছাড়াও তারা ক্রেডিট কার্ড দিতে পারবে না বলেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তবে যে সকল গ্রাহকদের কাছে ক্রেডিট কার্ড রয়েছে তারা তা নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন।
কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাংকের উপর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে এমন পদক্ষেপ নেওয়ার পিছনে যে কারণ রয়েছে তা হলো, ২০২২ এবং ২০২৩ সালে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে যে আইটি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল সেই পরীক্ষায় কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাংক উত্তীর্ণ হতে পারেনি। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যে সকল ভুলভ্রান্তি রয়েছে সেগুলি শুধরে ফেলার জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে তা সংশোধন করতে না পারার কারণেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।