India is going to deploy the new division of the Indian Army on the Chinese border: লাদাখের পূর্ব দিকে সীমানা বরাবর চীনের দাপট দিন দিন বেড়েই চলেছে। তার মোকাবিলা করতে বাহিনী নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করেছে ভারত সরকার। নাম প্রকাশ না করে নতুন একটি ডিভিশন (Indian Army New Division) তৈরি করার কথা ভেবেছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে চীনের মহড়া দেখা গেছে প্যাংগং হ্রদের ওপারে। তারই প্রত্যুত্তর দিতে প্রস্তুত হচ্ছে ভারত। চীনের ওয়াটার স্কোয়াড্রন ডিভিশনের মহড়ার উত্তরে ভারতেও সেনাবাহিনীতে নতুন ডিভিশন আনতে চাইছে ভারত সরকার।
২০২০ সাল থেকে চীন ও ভারতের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়েছে। ২০২২ সালে এসে সেনা সক্রিয়তায় রাশ টানা হলেও, বাহিনীর বহরে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। বর্ডারের দুপাশেই এখনো পর্যন্ত সেনাবাহিনী রয়েছে ৬০ থেকে ৫০ হাজার। ৩৪৮৮ কিলোমিটার লম্বা বর্ডার এরিয়ায় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চীনের তরফ থেকে ৯০২৮ বি হানাদার নৌকো ছাড়া রয়েছে। এই রকম প্রায় ২০ টি নৌকায় মোট ২০০ জন সেনা উপস্থিত রয়েছেন। সেনাকর্তাদের মতে ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের অংশ ওয়াটার স্কোয়াড্রন। পূর্ব রাধাপুর ও পশ্চিম তিব্বতের মধ্যবর্তী এলাকায় অবস্থিত প্যাংগং হ্রদের দৈর্ঘ্য ১৩৪ কিলোমিটার।
প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চীনের পদক্ষেপ ভারতকেও নতুন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করছে। চীনের নতুন বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নতুন ডিভিশন (Indian Army New Division) তৈরি করার কথা ভাবছে সরকার। লাদাখে এই মুহূর্তে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব রয়েছে নর্দান কমান্ডের অন্তর্ভুক্ত লে ভিত্তিক ১৪ কর্প। নতুন এই ডিভিশনের খবর এখনই জনসমক্ষে আনতে চাইছে না প্রশাসন কিন্তু গোপন সূত্রে জানা গেছে, এই ডিভিশনে একাধিক অস্ত্রাগার, ব্রিগেড ছাড়াও বেশ কিছু নতুন ব্যবস্থাপনা যুক্ত করা হবে।
আরও পড়ুন ? Jio vs China Mobile: জিওর কাছে পিছনে পড়ে গেল চীনের চায়না মোবাইল! কিছু করে দেখালেন আম্বানি
চীনের নৌবাহিনীর জবাব দিতে ভারতও তৈরি করেছে নৌ বাহিনী। ইস্পাতের শক্তিশালী নৌকাগুলিকে চীনের নৌকাগুলি আঘাত করলেও কোন ক্ষতি হবে না। আপাতত নজরদারি করার জন্য ১২ টি নৌকাকে মোতায়ন করা রয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনে জলের মধ্যে দিয়ে যাতে দ্রুত নৌ সেনাবাহিনী একত্রিত করা যায় তার জন্য আরও ১৭ টি নৌকো মজুদ করা রয়েছে।
কিন্তু নতুন ডিভিশন (Indian Army New Division) তৈরিতে প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে অর্থ ও সেনাবাহিনী, দুটোই। এই বিষয়ে চিন্তিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। কাশ্মীরে জঙ্গি দমনের উদ্দেশ্যে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর মধ্যে কিছু অংশকে চীনে নিয়ে আসার কথা ভাবছে প্রশাসন, কিন্তু এতে কাশ্মীরে নিরাপত্তা শিথিল হয়ে যেতে পারে সেই চিন্তাও রয়েছে প্রশাসনের। কিন্তু চীন ও ভারতের প্রকৃত নিরাপত্তা রেখায় প্রতিনিয়ত ঘটে চলা বদলের কথা মাথায় রেখে পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে ভারতকে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক কর্তা বলেন পরিস্থিতি সামাল দিতে টানাটানির মধ্যেও ভারসাম্য বজায় রেখে কাজ করতে হবে সেনাবাহিনী কে।