Apart from buying food, Swiggy IPO offers the opportunity to earn lakhs of rupees: ভারতীয় বাজারে অত্যন্ত জনপ্রিয় ফুড ডেলিভারি সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম সুইগি। তৈরি করা খাবার ছাড়াও, খাবার তৈরির উপকরণও সরবরাহ করে এই কোম্পানি। সারাদেশ জুড়ে এই কোম্পানির সার্ভিস অ্যাভেলেবল রয়েছে। স্টক মার্কেটের বাজারে আবারও আইপিও (Swiggy IPO) নিয়ে আসতে চলেছে সুইগি। ইতিমধ্যে শেয়ার হোল্ডারদের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছে ব্যাঙ্গালোরের এই কোম্পানি। সবুজ সংকেত পাওয়া মাত্রই আইপিও বাজারে নিয়ে আশার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুইগি।
সুইগি কোম্পানি তাদের ব্যবসা আরো বাড়াতে চাইছে। খাবার বা মুদি সদাই ডেলিভারি করার এই ব্যবসায় আরো বেশ কিছুটা মূলধন যোগ করতে চাইছে সুইগি। সুইগি কোম্পানি তাদের ব্যবসা বড় করার উদ্দেশ্যে বর্তমান মূলধনের সাথে অতিরিক্ত মূলধন হিসেবে যোগ করতে চাইছে আরও ৩৭৫০ কোটি টাকা। আর তাই জন্যেই বাজার থেকে টাকা তুলতে চাইছে কোম্পানি। আইপিও (Swiggy IPO) এর মাধ্যমে বাজার থেকে প্রায় ৬৬৬৪ কোটি টাকা তোলার পরিকল্পনা করেছে সুইগি। শেয়ার হোল্ডারদের তরফ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই আইপিও এর পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় সংস্থার পক্ষ থেকে। নতুন করে ইকুইটি শেয়ার তৈরি করার জন্য ৩৭,৫০১ মিলিয়ন টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়াও, শেয়ার হোল্ডারদের কাছে ৬৬,৬৪০ মিলিয়ন টাকার শেয়ার বিক্রির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সুইগি আইপিও (Swiggy IPO) তে অ্যাঙ্কার বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭৫০ কোটি টাকার শেয়ার রেখে দেবে। যদিও এখনো পর্যন্ত স্টক মার্কেট নিয়ন্ত্রণকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার কাছে সুইগি আইপিও সম্পর্কিত কোন তথ্যই ফাইলিং করে জমা করেনি। ২২ শে এপ্রিল ২০২৪ এর সুইগির কর্তাদের মধ্যে হওয়া বৈঠকে আইপিও আনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। খাবার ডেলিভারি করার এই সংস্থাটির ৩৩ শতাংশ শেয়ার বর্তমানে ডাচ্ তালিকাভুক্ত প্রোসাসের কাছে রয়েছে। সুইগির বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সবথেকে বড় সংস্থা এটি।
এছাড়াও, ব্যাঙ্গালোরের এই সংস্থাটির বিনিয়োগকারীদের তালিকায় রয়েছে টেনসেন্ট, এলিভেশন, সফট ব্যাঙ্ক, অ্যাসেল, মেইটুয়ান, নরওয়েজড ভেঞ্চার, ডিএসটি গ্লোবাল, ক্যাপিটাল, কাতার ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি ইত্যাদি। এছাড়া সুইগির সহ প্রতিষ্ঠাতা শ্রীহর্ষ মাজেটির কাছে রয়েছে ৪.২ শতাংশ শেয়ার। নন্দন রেড্ডির কাছে ১.৬ শতাংশ এবং রাহুল জৈমিনি এর কাছে ১.২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে কোম্পানির।
সম্প্রতি নিজে নতুন স্টার্টাপ তৈরি করার কারণে ফুড ডেলিভারি সংস্থার পদকর্তা পদ ত্যাগ করেছেন রাহুল জৈমিনি। ২০২৩ সালের ৩১ শে মার্চে সুইগির মোট অর্থের পরিমাণ ছিল ৮২৬৫ টাকা। ২০২১-২২ অর্থে বর্ষের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সুইগির মোট অর্থের পরিমাণ ৪৫ শতাংশ বেড়েছে। এই অর্থবর্ষেই সুইগির লোকসান হয়েছিল প্রায় ৪১৭৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রায় ১৫ শতাংশ। সুইগি আইওপির (Swiggy IPO) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা আরো বাড়াতে চাইছে তাদের সংস্থার জন্য। স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ তাই শুধুমাত্র প্রতিবেদন পড়ে নয়, বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে তবেই স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করুন।