নিজস্ব প্রতিবেদন : বিমান পরিষেবা একসময় দেশের বিলাসবহুল মানুষরাই ব্যবহার করে থাকলেও এখন কিন্তু সেই দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। একসময় খরচের কথা মাথায় রেখে সাধারণ মানুষেরা বিমানে চড়তে ভয় পেলেও এখন তা আর পান না। আসলে সময় বাঁচানোর জন্য এখন অনেকেই রয়েছেন যারা বিমানে চড়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াত করে থাকেন।
তবে বিমান পরিষেবার চাহিদা দিন দিন বাড়লেও অন্যান্য গণপরিবহনের মতো চাহিদা কিন্তু নেই এই ক্ষেত্রে। এর পিছনে যে সকল কারণ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ভাড়া (Flight Fare)। বিমানে চড়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াতের ক্ষেত্রে ভাড়া অনেকটাই পড়ে। তবে এবার ডিজিসিএ (DGCA) এমন এক পদক্ষেপ নিচ্ছে যার ফলে বিমান ভাড়া অনেকটাই কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ডিজিসিএ এয়ার ট্রান্সপোর্ট সার্কুলারে সম্প্রতি বদল এনেছে। এই বদল আনার ফলেই ভাড়া আগের তুলনায় কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। কেননা নতুন নির্দেশিকায় উড়ান সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা কেন্দ্রীয় সংস্থা বেশ কিছু পরিষেবার খরচ কমানোর নির্দেশ দিয়েছে। যে সার্কুলারে স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পছন্দ মত আসন নেওয়া, খাবার, স্ন্যাক, জল, বাদ্যযন্ত্র নিয়ে উড়ানের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা নিতে পারবে না উড়ান সংস্থাগুলি।
আসলে যখন যাত্রীরা বিমানের টিকিট বুক করেন তখন তারা সংস্থাগুলির থেকে বাধ্যতামূলকভাবে বেশ কিছু পরিষেবা পেয়ে থাকেন। যাকে বলা হয় অপট আউট সার্ভিস। এর বাইরে যদি কোন পরিষেবা যাত্রীরা পেতে চান তাহলে তার জন্য আলাদা চার্জ দিতে হয় যাকে বলা হয় অপট ইন সার্ভিস। এবার নির্দেশিকাই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিমান সংস্থাগুলিকে টিকিট বুকিংয়ের সময় উল্লেখ করে দিতে হবে কোন কোন পরিষেবা অপট ইন আর কোন কোন পরিষেবা অপট আউট।
ডিজিসিএ উল্লেখ করেছে, টিকিট বুকিং করার সময়ই সংস্থাগুলি যাত্রীদের থেকে এমন এমন কিছু পরিষেবার ক্ষেত্রে টাকা নিয়ে থাকে যেগুলির অনেক ক্ষেত্রেই যাত্রীদের প্রয়োজন হয় না। এর ফলে ওই সকল পরিষেবা না বহন করেই টাকা দিতে হয়। এই ধরনের ঘটনায় পড়ে যাতে যাত্রীদের বাড়তি টাকা খরচ না হয় সেই বিষয়ে নজর দেওয়া হচ্ছে এবং এসবের ফলেই মনে করা হচ্ছে বিমানের ভাড়া কমবে। এছাড়াও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাত্রীদের কাছে যদি মালপত্র না থাকে তাহলে ব্যাগেজ চার্জ নেওয়া যাবে না।