Which one is the poorest state in India: উন্নয়ন সবাই চায়। সেদিক থেকে পিছিয়ে নেই ভারতবর্ষ। সর্বদিক থেকেই সাধারণ মানুষকে সুবিধা দিতে সরকার তরফে দেশকে উন্নত করে তোলা হচ্ছে। তারই একটি উদাহরণ হল দারিদ্র্যসীমা দূরীকরণ। পূর্বে দেশে যে দারিদ্র্য সংখ্যা ছিল তার পরিমাণ বর্তমানে অনেকটাই কমেছে। যা বেশ প্রশংসার যোগ্য। দেশ তার অনেক সন্তানকেই দারিদ্রসীমা থেকে বার করে এনেছে। নীতি আয়োগে রিপোর্ট বলছে, ২০১৩ থেকে ১৪ সালে যে দরিদ্র সংখ্যা ছিল তা ২০২২ থেকে ২৩ সালে অনেকটাই কমে গিয়েছে। প্রায় ২৪.৮২ কোটি মানুষ দারিদ্রতা মোচন করতে পেরেছে। যা দেশের জন্য বেশ প্রশংসনীয়। এই নিরিখে দেশের কোন রাজ্য (Poorest State in India) প্রথমে রয়েছে? বাংলাতেই বা দারিদ্র্য সংখ্যা কত? রইল বিস্তারিত বিবরণ।
মূলত MPI দ্বারা পরিমাপ করা হয় ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আয় স্তর। অর্থাৎ কোন রাজ্যে, কোন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আয়ের পরিমাণ কত আছে সেই নিরিখে প্রকাশ্যে এসেছে দেশের সবচেয়ে দরিদ্র রাজ্য। HDI-এর তথ্য বলছে ২০২২ ২৩ সালের গণনায় দেশের সবচেয়ে দরিদ্র রাজ্য হলো বিহার (Poorest State in India)। তালিকার শীর্ষস্থানে রয়েছে বিহার। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার মূল্যায়নে বিহারের গরীব সংখ্যা বহুমাত্রিক। তারপরেই স্থান রয়েছে মেঘালয়, ঝাড়খন্ডের।
তার আগের যদি গণনা দেখি সেখানে দেখা যায় ২০১৯ থেকে ২১ সালে বিহারের জনসংখ্যায় গরীব সংখ্যা ছিল ৩৩.৭৬ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ঝাড়খণ্ডের দারিদ্র্য সংখ্যা ২৮.৮১%। তারপরের স্থানেই ২৭.৭৯ শতাংশ গরিব রয়েছে মেঘালয়ে। উত্তরপ্রদেশে রয়েছে ২২.৯৩ শতাংশ এবং মধ্যপ্রদেশে দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করছে ২০ শতাংশ।
অপরদিকে, ২০২২-২৩ সালে সেই দারিদ্রসীমা থেকে প্রত্যেক রাজ্য থেকেই বহু ব্যক্তি বেরিয়ে এসেছে। তালিকা অনুযায়ী ২০২-২৩ সালে বিহারে দারিদ্র্য সংখ্যা রয়েছে ২৬.৫৯ শতাংশ। তবে ২০১৯-২১ সালে দ্বিতীয় স্থানে ছিল ঝাড়খন্ড। তবে এই সালে সেই স্থান দখল করেছে মেঘালয়। অন্যদিকে ৫-৬ শতাংশ গরীব কমে ঝাড়খণ্ডের স্থান নেমেছে তৃতীয় স্থানে। তারপরেই তালিকায় রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড়, অসম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা এবং উড়িষ্যা।
তবে দরিদ্রসীমার (Poorest State in India) তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের স্থান অনেকটাই নীচে। অর্থাৎ বাংলায় জনসংখ্যার নিরিখে দরিদ্রের সংখ্যা অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই কম। ২০১৯ থেকে ২১ সালে ১১.৮৯ শতাংশ গরিব সংখ্যা ছিল পশ্চিমবঙ্গে। স্থান ছিল ১৩ নম্বরে। তবে ২০২২ থেকে ২৩-এর তালিকায় সেই সংখ্যা আরো কমে গিয়েছে। যার ফলে ১৩ থেকে ১৪ নম্বরে স্থান পেয়েছে বাংলা। ফলেই পশ্চিমবঙ্গে যে অনেকটাই এদিক থেকে উন্নতি ঘটেছে তা বলাই বাহুল্য।